ছবিতে দেবপ্রসাদ বাগ (বাঁদিক থেকে দ্বিতীয়) এবং দেবু টুডু (বাঁদিক থেকে তৃতীয়)। —নিজস্ব চিত্র।
প্রকাশ্য সভায় বিচারপতিদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন কালনার তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। দেবপ্রসাদের মন্তব্যের সমালোচনা করে সরব হয়েছে বিজেপি।
শনিবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ নম্বর ব্লকের সিঙেরকোনে একটি বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই কালনার বিধায়ক দাবি করেন, ‘‘বিচারপতিরা সকলেই বিজেপির লোক।’’ আরজি করের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিচারকের মতামত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দেবপ্রসাদ। পাশাপাশি, বিচারকদের রায়দানের স্বচ্ছতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। এর পর ওই মঞ্চ থেকেই বিচারকদের পাশাপাশি সিপিএম এবং বিজেপিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।
একই অনুষ্ঠানে তৃণমূলের রাজ্য আদিবাসী সেলের চেয়ারম্যান দেবু টুডুও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রতিবাদী জনতা এবং সিপিএম কর্মীদের। আরজি কর-কাণ্ডে ‘জাস্টিস’ অর্থাৎ বিচার চাওয়া মানুষকে কটাক্ষ করে ‘লাল মুখোশ পরা ইংরেজের বাচ্চা’ বলেন। দেবু বলেন, ‘‘এক শ্রেণির মানুষ বলছেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। বাংলায় আবার ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ কী? ইংরেজের বাচ্চারা চলে এল! আসলে এরা সেই লাল মুখোশধারী রাশিয়া, চিন থেকে এসেছিল। তারাই বলছে বলছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। ইংরেজ চলে গেছে, মাও সেতুং চলে গেছে, মার্ক্স চলে গেছে, কিন্তু এরা রয়ে গিয়েছে। তারাই আজ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলছে, বাংলা বলতে তাদের লজ্জা হচ্ছে। এরা পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, এমপি কোনও কিছুই পায়নি, সব জায়গাতেই তারা শূন্য।’’
যদিও এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। অনেকেই সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। সরব হয়েছে বিরোধী দলও। বিজেপি নেতা কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল কিছুই মানে না। বিধায়কই বলুন, আর ওদের নেত্রীই বলুন— এরা কেউই কোনও আইন মানে না। বিচার বলে পশ্চিমবঙ্গে কিছু নেই। তাই ওরা বিচারপতিদের অসম্মান করছে।’’
(আনন্দবাজার অনলাইন দেশের সমস্ত বিচারালয়, বিচারপতি এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই খবরে তৃণমূল বিধায়কের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, তা তাঁর নিজস্ব অভিমত। তার দায় আনন্দবাজার অনলাইনের নয়)