Fraud

জামালপুরের মোবাইল টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে হাতিয়েছেন সাড়ে ৬ লক্ষাধিক! ধৃত এক অভিযুক্ত

রবিবার পুলিশের দাবি, তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন অভিযুক্ত। নানা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেন তিনি। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের সঙ্গে প্রতারণায় আরও কয়েক জন জড়িত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামালপুর শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৪৭
Share:

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থানার বাসিন্দা অমৃতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজের জমিতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর অনুমতি দিলে নানা আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে। মোবাইল সংস্থার কর্মী সেজে এমনই টোপ দিয়েছিলেন প্রতারক। সে জন্য দফায় দফায় সাড়ে ৬ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়েও নিয়েছেন তিনি। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম অমৃতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থানার স্কুলরোডের বাসিন্দা। জামালপুর থানার রেসলাতপুরের বাসিন্দা হায়দার আলির অভিযোগ, গত বছরের ২৬ এপ্রিলে তাঁর কাছে অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে একটি ফোন এসেছিল। বেসরকারি মোবাইল সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে দিয়ে তাঁকে ফোন করেছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর জমিতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়।

ওই টাওয়ার বসালে নানা ধরনের আর্থিক সুযোগ মিলবে বলে জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। পরের দিন এক মহিলা ফোন করে টাওয়ার বসানোর জন্য বিভিন্ন নথিপত্র ও টাকা জমা দিতে বলেন তাঁকে। এ ভাবে নানা কারণ দেখিয়ে কয়েক দফায় তাঁর কাছ থেকে ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫০ টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে নানা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই বিপুল টাকা জমা পড়ার পর বেশ কিছু দিন কেটে গেলেও মোবাইল সংস্থার তরফে কেউ যোগাযোগ করেননি। এর পর তিনি ওই নম্বরে ফোন করেন। টাওয়ার বসাতে হলে তাঁকে আরও ১০ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়েছিল। টাকা না দিলে টাওয়ার বসবে না বলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে আগের জমা টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, হায়দরের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করা হয়। অভিযোগকারীর গোপন জবানবন্দিও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করে পুলিশ। এর পর টাকা জমা পড়া অ্যাকাউন্ট ও মোবাইলের সূত্র ধরে অমৃতাভ নামে এক ব্যক্তির সন্ধান পান তদন্তকারীরা।

এই অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে অমৃতাভর জড়িত থাকার বিষয়টি জানা যায় বলে দাবি পুলিশের। তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামালপুর থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়। শনিবার তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে কাছে হাজিরা দেন তিনি। এর পর দীর্ঘ ক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের দাবি, তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন অভিযুক্ত। নানা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেন তিনি। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের সঙ্গে প্রতারণায় আরও কয়েক জন জড়িত বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করতে এবং বাকি জড়িতদের হদিস পেতে তাঁকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় পুলিশ। তবে ধৃতের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement