প্রতীকী ছবি।
রথের মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে আদিবাসী বধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানে। শুক্রবার রাতে আউশগ্রামে দিগনগরে ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বয়ানে নির্যাতিতা দাবি করেছেন, অভিযুক্তদের এক জন তাঁর পূর্ব পরিচিত। রবিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে হাজির করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অতিমারির কারণে গত দু’বছর ধরে রথের মেলা বন্ধ ছিল দিগনগরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ বছর ওই মেলা হওয়ায় নগদকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন ওই বধূ। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ননদ ও বউদি দু’জনে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই তিন যুবক বাইকে এসে বধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
পুলিশকে দেওয়া বয়ানে বধূ জানিয়েছেন, বাড়ি ফেরার সময় অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা ভুল করে দিগনগর থেকে আলিগ্রামের রাস্তায় চলে গিয়েছিলেন তিনি ও তাঁর ননদ। ওই রাস্তায় এক পরিচিতের দেখা হওয়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন ননদ। তখন হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলেন ওই বধূ। সেই সময় তিন যুবক বাইকে চেপে এসে তাঁকে মাঠের দিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। বধূর অভিযোগ, গণধর্ষণের পর তাঁকে আবার মাঠে ফেলে রেখে আসে অভিযুক্তরা। এর পর নিজেকে কিছুটা সামলে কোনও রকমে কেঁওতলার কাছে কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গোটা ঘটনার কথা জানান। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে এক অভিযুক্তের নামও বলেছিলেন বধূ।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিন অভিযুক্তের মধ্যে এক জনকে চিনে ফেলেছিলেন নির্যাতিতা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার প্রথমে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এর পর ওই ধৃতকে জেরা করেই বাকি তিন জনের নাম-পরিচয় জেনে তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়। তিন ধৃতের নাম— রাজেশ দে, বিপত্তারণ পাল, তারকনাথ পাল। তিন জনেরই বাড়ি দিগনগর গ্রামে। শনিবার ওই গ্রামে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করেন পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায়। পুলিশ জানিয়েছেন, রবিবার তিন ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হবে।