আসানসোলে সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র।
বহু দিন ধরে আসানসোল সেন-র্যালে রোডের রেল টানেলের সংস্কারের জন্য দাবি জানাচ্ছিলেন এলাকাবাসী। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সেই সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের কাজের সূচনা করলেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন ডিআরএম (আসানসোল) সুমিত সরকার-সহ অন্য রেলকর্তারা।
লাগোয়া এলাকার সঙ্গে আসানসোল মূল শহরের যোগাযোগ রাখার অন্যতম মূল রাস্তা এই সেন-র্যালে রোড। এই রাস্তার উপরেই পাশাপাশি চারটি টানেল রয়েছে। কিন্তু টানেলগুলি বেশির ভাগ সময়েই বেহাল বলে শহরবাসীর অভিযোগ। ফলে, যানবাহন ও পথচারীরা এই রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়েন। টানেলের সংস্কারের জন্য একাধিক বার রেলের কাছে আর্জিও জানান এলাকাবাসী।
পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সংস্কার শুরু হয়েছে। কিছু কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করা হয়েছে। আরও কিছু কাজ করা হবে বলে রেল-কর্তারা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার এই প্রকল্পেরই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘‘টানেলটি বহু পুরোনো। টানেলটি অনেক সময়ে জলে ভরে থাকে। আমার গাড়ি যাওয়ার সময়ে জল ছিটে অনেক সময়ে সমস্যায় পড়েছেন পথচারীরা। তাই টানেলটি সংস্কার করে যাতায়াতের উপযোগী করা হচ্ছে।’’
বাবুল এ দিন জানান, দু’টি টানেল দিয়ে গাড়ি ও পথচারীরা যাতায়াত করবেন। একটি টানেলের বড় নালা দিয়ে শহরের বর্জ্য জল নিকাশ করা হবে। আরেকটি টানেল দিয়ে অতি উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুতের তার গিয়েছে। ফলে, সেটি দিয়ে যানবাহন বা পথচারীদের যাতায়াত নিরাপদ নয়।
তবে একটি বিষয় নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। বাবুল বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছি, বিদ্যুতের তারগুলি মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে, ওই টানেলটি শুধু পথচারীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করে দেওয়া হবে।’’ তবে বাবুলের এই প্রস্তাব প্রসঙ্গে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আসানসোল ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার শুভেন্দু চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি তাঁরাও অনেক আগেই দেখেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘আসানসোল রেল ডিভিশন কর্তৃপক্ষের কাছে রেল টানেলের মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি আগেই চাওয়া হয়েছে। তবে এখনও ইতিবাচক উত্তর মেলেনি। অনুমতি মিললেই আমাদের কাজ করতে কোনওসমস্যা নেই।’’
ডিআরএম সুমিতবাবু জানান, সেন-র্যালের এই রেল টানেলটির পাশাপাশি, কুলটির চিত্তরঞ্জন রোড ও সীতারামপুর রেল টানেল দু’টিরও সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে।