মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা উপনির্বাচনের আগে আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলার জাকির হোসেন (৫৯ নম্বর ওয়ার্ড) এবং নির্দল কাউন্সিলার টুম্পা চৌধুরী (৬৭নম্বর ওয়ার্ড), ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতা চাঁদ খান এবং তাঁর স্ত্রী যোগ দিলেন তৃণমূলে। বৃহস্পতিবার আসানসোলের রবীন্দ্রভবনের এক দলীয় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মলয় ঘটক তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। এই যোগদানকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
তৃণমূল কুলটির ব্লক সভাপতি বিমান আচার্য নির্দল ও কংগ্রেস নেতা ও কাউন্সিলরদের যোগদানের খবর পেয়ে কর্মিসভায় উপস্থিত না থেকে বাড়ি চলে যান। সে সময় আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে বুঝিয়ে রবীন্দ্র ভবনের অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি তাঁর কথা না শুনে বাড়ি চলে যান। যাওয়ার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘যে আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল সে চাঁদ খানকে দলে নেওয়া হয়। আমি বিশেষ ভাবে মলয়দাকে (মলয় ঘটক) অনুরোধ করেছিলাম তা সত্ত্বেও নেওয়া হল। পার্টির এই আচরণে আমি দুঃখ পেলাম।’’ এই আঘাত যে তিনি ভাল ভাবে নিচ্ছেন না তা জানিয়ে দিচ্ছেন ব্লক সভাপতি বলেন, ‘‘আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নেব আমি কী করব।’’
প্রসঙ্গত, পুরভোট ১০৫ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েছিলেন বিমান আচার্যের পুত্রবধূ। তাঁর বিপরীতে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন চাঁদ খানের স্ত্রী। ওই ওয়ার্ডে ভোটে জেতে বিজেপি।
এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘‘এ রকম কেউ যোগদান হয়েছে বলে তার জানা নেই। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে যোগদান করতেই পারে। দলের ভালর জন্য এই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’
তবে এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন, ‘‘১০৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ৯১ জন জয়লাভ করেছিলেন। কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলর যোগদান করায় কাউন্সিলারের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৩-এ। আরও চারজন বিরোধী কাউন্সিলর যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। দল সম্মতি দিলে তাঁদের যোগদান করানো হবে।’’