Money Fraud

প্রতারক স্ত্রীয়ের কীর্তির শাস্তি পেলেন স্বামী, জুটল বেধড়ক মার, ভাঙা হল বাইক

প্রতারণায় অভিযুক্ত অপর্ণা। তাঁর স্বামী বলেছেন, ‘‘আমার স্ত্রীয়ের বন্ধুদের দল ছিল। তাঁরা ভাগাভাগি করেছেন। আমার স্ত্রী বেশিরভাগটা নিয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২১ ২১:৪৩
Share:

নিজস্ব চিত্র

দিনের পর দিন অন্যের নামে ঋণ তুলে নিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণা। অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের বাসিন্দা অপর্ণা দাঁ-র বিরুদ্ধে। রবিবার অভিযোগের ভিত্তিতেই অপর্ণার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালাল প্রতারিতরা। মারধর করা হল প্রতারকের স্বামী ও শাশুড়িকেও। ভেঙে দেওয়া হল ঘরের জানলা, দরজা, মোটর বাইক।

Advertisement

প্রতারিতদের অভিযোগ, সরকারি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দীর্ঘ দিন ধরেই এক প্রতারণা চক্র ফেঁদে বসেছিলেন অপর্ণা। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সই জাল করে নথিপত্র তৈরি করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই সরকারি টাকা পাননি। উল্টে সমস্ত নথিপত্র আটকে রেখেছিলেন প্রতারক। গোষ্ঠীর নাম করে তোলা সেই ঋণ নিঃশব্দে নিজেই হাতিয়েছিলেন অপর্ণা। সুদও দিচ্ছিলেন। কিন্তু কয়েকমাস পর থেকে ঋণের সুদ দিতে না পারায় পালিয়ে যান। তারপর যাঁদের নামে ঋণ তোলা, তাঁদের বাড়িতে হাজির হন ব্যাঙ্কের লোকেরা। ঋণ না নিয়েও ফাঁপড়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। চার মাস ধরে এই কাণ্ড চলার পর রবিবার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে প্রতারিতদের। দুর্গাপুরের বিধাননগর ফাঁড়ির অন্তর্গত টেটিখোলা অঞ্চলে অপর্ণার বাড়িতে এসে জানতে পারেন, তিনি বাড়িতে নেই। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। ইট-পাটকেল পড়তে থাকে বাড়িতে। ভাঙচুর করা হয় অপর্ণার স্বামীর মোটরবাইক।

প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত অপর্ণার স্বামী বলেছেন, ‘‘আমার স্ত্রীয়ের একটি বন্ধুদের দল ছিল। তাঁরা ভাগাভাগি করে এই টাকা হাতিয়েছেন। আমার স্ত্রী বেশিরভাগটা নিয়েছে। কিন্তু ও পালিয়ে গিয়েছে। আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করে দেখেছি, ফোন অফ।’’

Advertisement

যদিও উত্তেজিত জনতা তা মানতে চায়নি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ কোনোক্রমে অভিযুক্তের স্বামী ও তাঁর মাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

প্রতারিতরা জানিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়ায় সন্দেহ হওয়ায় মাস চারেক ধরে অভিযুক্ত অর্পণাকে ঋণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোনও রকম সদুত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত। সেই কারণেই রবিবার বিকালে অপর্ণার বাড়িতে হাজির হন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement