ফাইল চিত্র
করোনার মধ্যে কেন বকরি ইদ পালনে ছাড় দেওয়া হবে? কেন কেরল সরকার এই সময়ে লকডাউন তিন দিনের জন্য তুলে নিচ্ছে? প্রশ্ন তুলল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। করোনার অবশ্যম্ভাবী তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে কেরল সরকারকে সতর্কও করল চিকিৎসকদের সংগঠন। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি বিধিনিষেধ তোলার সিদ্ধান্ত বাতিল না হয়, তা হলে আদালতে যাবে সংগঠন।
আইএমএ প্রশ্ন তুলেছে, প্রধানমন্ত্রী একাধিক বার করোনা পরিস্থিতিতে জমায়েত এড়িয়ে চলতে বলেছেন। একাধিক রাজ্য তাঁদের বিভিন্ন স্থানীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। বাতিল করা হয়েছে একাধিক ধর্মীয় যাত্রাও। দেশে এই উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও কেন কেরল সরকার বকরি ইদে ছাড় দিচ্ছে?
আইএমএ-এর পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যখন একাধিক উত্তর ভারতের রাজ্য, যেমন জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড সাধারণের নিরাপত্তা
কেরল আগেই জানিয়ে দিয়েছে, রবিবার থেকে তিন দিনের জন্য বকরি ইদ উপলক্ষে রাজ্যে লকডাউনের কড়াকড়ি থাকবে না। জামাকাপড়ের দোকান, জুতোর দোকান, গয়নার দোকান, উপহার সামগ্রীর দোকান-সহ প্রায় সব বাজার-হাট খোলা থাকবে। তাই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি লিখেছেন, কেরল করোনার এক প্রধান কেন্দ্র হিসাবে উঠে এসেছে। তাই সেখানে ইদের জন্য ছাড় দেওয়া উচিত হয়নি। যদি কাঁওয়াড় যাত্রা বাতিল করা হয়, তা হলে কেন বকরি ইদের মতো অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে।