উদ্ধার হওয়া পিস্তল এবং খালি ম্যাগাজিন। —নিজস্ব চিত্র।
আগ্নেয়াস্ত্র এবং ম্যাগাজিনে বোঝাই ব্যাগ। তা নিয়েই কুলটি থেকে ধানবাদ রওনা দিয়েছিল বাইকে সওয়ার যুবক। পুলিশের নজর এড়িয়ে নতুন কায়দায় অস্ত্র পাচার করাই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু বরাকর চেক পোস্টে নাকা তল্লাশির সময় ধরা পড়ে গেল আন্তঃরাজ্য অস্ত্র পাচারচক্রের ওই পাণ্ডা। পুলিশ ওই যুবকের ব্যাগ থেকে বেশ কিছু অত্যাধুনিক পিস্তল এবং খালি ম্যাগাজিন পেয়েছে। ওই চক্রের পিছনে আর কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাইক থেকে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম বলে জানাচ্ছেন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সীমানাবর্তী বরাকরে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই তল্লাশি চলাকালীন ধরা পড়ে এক বাইক আরোহী। তার ব্যাগে পাওয়া গিয়েছে, ২৫টি ৭ মিলিমিটার পিস্তল এবং ৪৬টি খালি ম্যাগাজিন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক কুলটির কেন্দুয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা। তার নাম আশ মহম্মদ ওরফে বাবলু। বাবলুর কাছে একটি মোবাইলও পেয়েছে পুলিশ। সেই মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে ঝাড়খণ্ড এবং কুলটির আর কেউ ওই ওই অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না।
দিন কয়েক আগে নিয়ামতপুরে একটি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। তার সঙ্গে কোনও যোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসানসোলে একটি স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি হয় কিছু দিন আগে। এর পরই আসানসোল ঝাড়খণ্ড সীমানাবর্তী দুর্গাপুর-কমিশনারেট এলাকায় নাকা তল্লাশি আরও বাড়ানো হয়েছে। তাতেই সাফল্য মিলেছে বলে মনে করছেন পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার। তিনি বলেন, ‘‘বাইকে এত বিপুল অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা এখানে এই প্রথম। বাবলুর পিছনে আর কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’