হাসপাতাল সুপারকে ঘিরে অভাব-অভিযোগ জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
করোনার সঙ্গে যুঝতে তাঁদের নানা জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু উপযুক্ত গুণমানের ‘পিপিই কিট’, পরিবেশ ও পরিষেবা মিলছে না। এই অভিযোগে বুধবার আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপারকে ঘিরে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখালেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১টায় সুপার নিখিলচন্দ্র দাসের অফিসে গিয়ে অবস্থানে বসেন স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। তাঁরা সুপারের কাছে নানা অসন্তোষের কথা জানান। অবস্থানকারীদের তরফে জেলা হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের কর্মী কস্তুরী রায় জানান, কর্তৃপক্ষের কথা মতো তাঁরা সবাই ‘করোনা-ডিউটি’ করছেন। অথচ, তাঁদের নিম্ন মানের ‘পিপিই কিট’ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে, যে কোনও সময়ে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে।
অবস্থানকারীদের অভিযোগ, তাঁদের জেলার নানা প্রান্তে ‘করোনা ডিউটি’-তে পাঠানো হলেও, সে বিষয়ে লিখিত আদেশনামা দেওয়া হচ্ছে না। রাত-বিরেতে যখন-তখন নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ফোন করে কাজে ডাকা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, জেলার বিভিন্ন সীমানায় কাজ করার সময়েও উপযুক্ত ‘পিপিই কিট’ দেওয়া হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অবস্থানকারী এ দিন এ-ও অভিযোগ করেন, এমন নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করে পরিষেবা চাওয়া হলে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একাংশ পুলিশে অভিযোগ করা হবে বলে ভয় দেখাচ্ছেন।
অবস্থানকারীরা সুপারের কাছে অভিযোগ করেন, এই হাসপাতাল থেকে পরিকল্পনাহীন ভাবে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের করোনার কাজে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফলে, হাসপাতালের পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। অবস্থানকারীদের তরফে কস্তুরী রায় বলেন, “আমরা সকলেই ঠিকমতো কাজ করতে চাইছি। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিষেবা দিতে পারছেন না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তাই এই অবস্থান। আমাদের দাবি, সিএমওইচ-কে হাসপাতালে এসে অভিযোগ শুনে পদক্ষেপ করতে হবে।”
বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সিএমওএইচ (পশ্চিম বর্ধমান) দেবাশিস হালদারকে অবশ্য হাসপাতালে আসতে দেখা যায়নি। পরে হাসপাতালের সুপার নিখিলবাবুর আশ্বাসে অবস্থান ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সুপার বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মীদের থেকে পাওয়া লিখিত অভিযোগ সিএমওএইচ-এর কাছে পাঠানো হবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছি। কিছু সমস্যা হচ্ছে। পরিকল্পনা করে এগোলে সমাধান হয়ে যাবে।” তবে এ দিনের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলে, সিএমওএইচ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।