Handloom Artisan

শাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি আঁকলেন তাঁতশিল্পী 

বাবার কাছে তাঁতের কাপড় বোনা শিখে জগবন্ধু এখন পুরদস্তুর শিল্পী হয়ে উঠেছেন। জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ, মুস্থুলি, একডালা, আমডাঙা ও পাঁচপাড়া গ্রামের মানুষের মূল পেশাই হল তাঁত বোনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ০৯:০৬
Share:

কাটোয়ার ঘোড়ানাশে সেই শাড়ি। নিজস্ব চিত্র

তাঁতের শাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন ঘোড়ানাশের তাঁতশিল্পী জগবন্ধু দালাল। মুখ্যমন্ত্রীকে সেই শাড়ি উপহার দিতে চান জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ওই শিল্পী। কাটোয়ার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে শাড়িটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার আবেদন জানাবেন তিনি।

Advertisement

বাবার কাছে তাঁতের কাপড় বোনা শিখে জগবন্ধু এখন পুরদস্তুর শিল্পী হয়ে উঠেছেন। জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ, মুস্থুলি, একডালা, আমডাঙা ও পাঁচপাড়া গ্রামের মানুষের মূল পেশাই হল তাঁত বোনা। এই এলাকার তাঁতের কাপড়ের সুনাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়েছে বিদেশেও। জগবন্ধু জানান, মুখ্যমন্ত্রী তাঁতের কাপড় পরতে ভালোবাসেন। বাংলার তাঁত শিল্পের পুনরুজ্জীবন চান তিনি। তাঁত শিল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এউ উদ্যোগকে সম্মান জানাতে ঘোড়ানাশের তাঁতশিল্পীদের তরফে শাড়িটি তাঁর হাতে তুলে দিতে চান জগবন্ধু। তিনি জানান, এক মাস ধরে সকাল বিকেল পরিশ্রম করে ১৫ হাত দীর্ঘ তাঁতের শাড়িটি বুনেছেন তিনি। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁর বাবা গণপতি, মা অণিমা এবং স্ত্রী প্রতিমা।

কাপড়ের উপরে সুতো দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন জগবন্ধু। শাড়ির আঁচলে ‘মা-মাটি-মানুষ’ স্লোগান লেখা হয়েছে। তার নীচে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ৪২ ইঞ্চি লম্বা ছবি। সঙ্গে রাজ্য সরকারের এগারোটি প্রকল্পের নামও রয়েছে শাড়িতে। তার পাড়ে রয়েছে ঘাসফুলের ছবি। শিল্পী জানান, ৮৪ ‘কাউন্ট’ সুতোর বুননে টানা ৩২ দিনের পরিশ্রমে শাড়িটি তৈরি করেছেন তিনি।

Advertisement

জগবন্ধুর দাবি, তাঁর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্যই শাড়িটি তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘শাড়িটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করব।’’ জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান গৌতম ঘোষাল জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শাড়িটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই কাটোয়ার বিধায়কের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement