গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ক্লাসে দুষ্টুমি করেছিল বলে প্রথম শ্রেণির ছাত্রকে ‘বেধড়ক মারধর’ করেছেন শিক্ষিকা। এই অভিযোগ নিয়ে বিডিও অফিসে নালিশ জানাতে গেলেন ছাত্রের দাদু। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ঘটনা। অভিযোগ শুনে ভাতার ব্লকের বিডিও দেবজিৎ দত্ত জানান, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
ভাতারের কর্জনা প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা করে বছর পাঁচেকের রায়ান (নাম পরিবর্তিত)। শিশুটি থাকে মামাবাড়িতে। তার পরিবারের দাবি অনুযায়ী, সোমবার স্কুলে কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে খেলছিল ছেলেটি। বেঞ্চের উপর উঠে লাফালাফি করায় এক শিক্ষিকা তাকে ছড়ি দিয়ে মারেন। ছুটির পর বাড়ি ফিরতে ছাত্রের দিদিমা স্কুলের পোশাক খুলতে গিয়ে দেখেন শিশুর পা এবং পিঠে ছড়ি দিয়ে পেটানোর দাগ। জিজ্ঞাসা করায় নাতি জানায় দিদিমণি তাকে মারধর করেছে।
নাতির মুখ থেকে ওই কথা শোনার পরেই দাদু সুনীল হাজরা স্কুলের প্রধানশিক্ষক অনিল ঘোষের কাছে যান। ওই গ্রামেই বাড়ি প্রধানশিক্ষকের। খুদেকে শাসন করা নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্কবিতর্ক চলে। সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা ভাতারের বিডিও অফিসে যান সুনীল। বিডিও-র কাছে শিক্ষিকার নামে নালিশ জানিয়ে বৃদ্ধ বাড়ি ফিরে যান।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাত পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায়। তবে পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।