দুষ্কৃতীরা গাড়ি নিয়ে রাজ্যের সীমানা অতিক্রম করে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে গিয়েছেন। প্রতীকী ছবি।
গাড়ি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালককে মাঝ রাস্তায় গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে হুগলিতে। প্রায় একই ধাঁচের ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানেও। চালককে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গাড়ি নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠল চার অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে। গলসির এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানা। যদিও এখনও কেউ গ্রেফতার হননি। গাড়িটিও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তা থেকেই জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা গাড়ি নিয়ে রাজ্যের সীমানা অতিক্রম করে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে গিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে একটি ট্রাভেল সংস্থাকে ফোন করে দুর্গাপুরে যাওয়ার জন্য গাড়ি চাওয়া হয়। সংস্থাটি একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। সেই মতো রাত ১২টা নাগাদ কলকাতার টেগোর পার্ক এলাকায় গাড়ি নিয়ে যান কসবা থানার কেএন সেন রোডের বাসিন্দা পিয়ারিলাল গুপ্ত। গাড়িতে ৪ জন যুবক ওঠেন। তিন জন পিছনের সিটে বসে। এক জন চালকের পাশের সিটে। যুবকদের বয়স ২০-২৫ বছরের মধ্যে। তাঁরা প্রত্যেকেই রোগা ও লম্বাটে দেখতে। তাঁদের মধ্যে এক জন নীল জ্যাকেট ও জিন্সের প্যান্ট পরে ছিলেন। অন্য এক জনের গায়ে হালকা সবুজ রঙের জামা ছিল। ডানকুনি টোলপ্লাজার কাছে তাঁরা একটি পাম্প থেকে গাড়িতে পেট্রল ভরেন। যুবকদের মধ্যে এক জন অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে পেট্রলের দাম বাবদ ২ হাজার টাকা মেটান। গলসির পারাজ স্টেশন মোড়ের কাছে একটি হোটেলের কাছাকাছি গাড়ি পৌঁছনোর পর যুবকদের মধ্যে এক জন বমি পেয়েছে বলে জানান। বমি করার জন্য গাড়ি দাঁড় করাতে বলেন তিনি। সেই মতো চালক গাড়ি দাঁড় করান। গাড়ি থেকে দু’জন নামেন। কিছু ক্ষণ পর ফিরে এসে চালকের কাছ থেকে গাড়ির চাবি কেড়ে নেন তাঁরা। অপর জন বন্দুক ঠেকিয়ে চালককে গাড়ি থেকে নামতে বলেন। ভয়ে চালক গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়ে চার যুবক গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। পরে, গাড়িচালক ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িটিকে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাড়ি ছিনতাইয়ের পিছনে জামতাড়া গ্যাংয়ের জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।