Rice Mill

চাল না ফেরালে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি, নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর

পূর্ব বর্ধমানে ১৩টি চালকলের কাছ থেকে ১০ হাজার টনের বেশি চাল বকেয়া রয়েছে খাদ্য দফতরের। যার বাজার দর প্রায় ২৪ কোটি টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০১
Share:

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। —ফাইল চিত্র

সহায়ক মূল্যের ধান নিয়ে চাল ফেরত না দিলে চালকলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার হুঁশিয়ারি দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে একটি বৈঠকে চালকল মালিকদের মন্ত্রী বলেন, “যে সব চালকল সহায়ক মূল্যে ধান নেওয়ার পরেও চাল দেয়নি, তাদের অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটও দিয়েছে পুলিশ। ফের সুযোগ দিচ্ছি। চাল ফেরত দিলে এবং ১০ শতাংশের সুদ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে জমা দিলে আমরাও মামলা তুলে নেব। তা না হলে চালকলের সম্পত্তি ‘ক্রোক’ করার দিকে আমাদের যেতে হবে।’’

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানে ১৩টি চালকলের কাছ থেকে ১০ হাজার টনের বেশি চাল বকেয়া রয়েছে খাদ্য দফতরের। যার বাজার দর প্রায় ২৪ কোটি টাকা। উত্তরবঙ্গেও বেশ কিছু চালকল চাল দিচ্ছে না বলে তাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা ভাবা হয়েছে, জানান খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে জেলার ন’টি চালকলের কাছ থেকে ৭,৩৭৭ টন চাল বকেয়া রয়েছে। পরের বছর আরও চারটি চালকলের কাছ থেকে ৩,১০০ টন চাল বকেয়া হয়। গত আর্থিক বছরেও পাঁচটি চালকলের কাছ থেকে ৫,৬৯৩ টন চাল পাওয়া বাকি রয়েছে, দাবি খাদ্য দফতরের। এ দিনের বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী গত আর্থিক বছরের বকেয়া চাল ফেরত দেওয়ার জন্য চালকলগুলিকে সময় দেন। বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। তিনিও বলেন, “সরকারের কাছ থেকে ধান কিনলে চাল ফেরত দিতে হবে।’’

Advertisement

চালকল মালিক সমিতির কর্তারাও মনে করছেন, যে সব চালকল সহায়ক মূল্যে ধান নেওয়ার পরেও চাল দিচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে খাদ্য দফতরের নরম মনোভাব নেওয়া উচিত নয়। ‘বেঙ্গল রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর কার্যনির্বাহী সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, “এ ব্যাপারে আমরা সরকারের পাশে রয়েছি। সহায়ক মূল্যে ধান নেওয়ার পরে বছরের পরে বছর চাল দেব না, এই মানসিকতা বন্ধ করতেই হবে। তা না হলে এটাই প্রবণতা হয়ে দাঁড়াবে।’’ খাদ্যমন্ত্রী পুলিশকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর জেলায় এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬৬ হাজার টন ধান সহায়ক মূল্যে কেনা হয়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে চার লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টন পর্যন্ত ধান কিনবে খাদ্য দফতর। আব্দুল মালেকের দাবি, “প্রায় এক লক্ষ টন চাল উৎপাদন হয়ে গুদামে রয়েছে। সেগুলি খাদ্য দফতর না নিলে আমরা ফের উৎপাদনের পরে চাল গুদামে রাখার জায়গা পাব না।’’ খাদ্যমন্ত্রী বৈঠক থেকেই ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও দুই ২৪ পরগনায় চাল পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement