খাঁচায় ধরা পড়েছে বাঘরোল। নিজস্ব চিত্র।
বুধবার সাতসকালে বাঘের আতঙ্ক ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। সকালে ভাতারের এড়াচিয়া আদিবাসী পাড়ার কয়েক জন শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলেন মাঠে। তখন তাঁরা খাঁচার মধ্যে বাঘের মতো জন্তু দেখতে পান। খাঁচায় বাঘের খবর চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। প্রচুর মানুষের ভিড় জমান জন্তুটিকে দেখার জন্য।
খবর পেয়ে বনদফতরের কর্মীরা জন্তুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। বনদফতরের এক কর্মী বাপি ঘোষ জানিয়েছেন এই প্রাণীটির নাম ‘ফিশিং ক্যাট’। বাংলায় বলা হয় মেছো বাঘ, মেছো বিড়াল বা বাঘরোল। অনেকটা বাঘের মতো দেখতে বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটা ভ্রম তৈরি হয় প্রাণীটিকে নিয়ে। ফলে গ্রামে-গঞ্জে এই প্রাণীটিকে হামলার মুখে পড়তে হয়। কখনও বা পিটিয়ে মেরেও ফেলার মতো ঘটনা ঘটে। ভাতারের এড়াচিয়া গ্রামেও মেছো বিড়ালটিকে বাঘ ভেবে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ফজুলা হেমব্রমের মুরগির খামারে কয়েক দিন ধরেই মুরগি কমে যাচ্ছিল। খামারের জাল ছিঁড়ে মুরগি খেয়ে নিচ্ছিল কোনও প্রাণী। সেটিকে ধরতে তিনি মঙ্গলবার রাতে তার খামারে খাঁচা পেতে রাখেন। সেই খাঁচাতেই আটকে পড়ে মেছো বিড়াল।
বনাধিকারিক দিশা গোস্বামী বলেন, “মেছো বিড়ালটিকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন “এটি রাজ্য প্রাণী। পূর্ব বর্ধমানে কম দেখা গেলেও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় দেখা মেলে। তবে এই জেলায় এর আগে দুটি মেছো বিড়াল উদ্ধার করা হয়েছে।”