লালাচাঁদ শেখ। নিজস্ব চিত্র।
কাটোয়ার গুলি-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল লালাচাঁদ শেখকে। শুক্রবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কেশিয়া মাঠপাড়া এলাকার বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে লালচাঁদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বার বার ওই কিশোরীর সঙ্গে সহবাস করেছেন লালচাঁদ। তাঁর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন ওই কিশোরীর মা।
দেখা করার জন্য বুধবার লালচাঁদকে ডেকে পাঠিয়েছিল ওই কিশোরী। দেখা হতেই প্রেমিককে জড়িয়ে চুম্বন করে সে। তার পরই প্রেমিকের বুকের কাছে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন লালচাঁদ। এর পরে গ্রেফতার করা হয় ওই কিশোরীকে।
জানা যায়, কিশোরীর বাবা ও দাদা ভিন্ রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকত কিশোরী। অভাবের সংসার। চতুর্থ শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করেনি ওই কিশোরী। ১৩ বছর বয়স থেকেই লালচাঁদের সঙ্গে তার আলাপ।
কিশোরীর মা জানান, কাটোয়ার কেশিয়া মাঠপাড়ায় তাঁদের আত্মীয় রয়েছেন। আত্মীয়ের বাড়ি যাতায়াতের সুবাদেই লালচাঁদের সঙ্গে তাঁর মেয়ের পরিচয় হয়েছিল। তাঁদের বিয়ের জন্য দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তাও হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় ৬০ হাজার টাকা এবং ৩ ভরি সোনার গয়না-সহ আরও কিছু জিনিস দাবি করে লালচাঁদের পরিবার। এর পরেই মাসির বাড়ি ঝাড়খণ্ডে চলে যায় কিশোরী।
পুলিশি জেরায় ওই কিশোরী জানায়, ওই সময় অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লালচাঁদ। সে কারণেই খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় ওই কিশোরী।