সেই চিঠি। নিজস্ব চিত্র।
নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে চিঠি দিলেন দুর্গাপুর পুরসভার প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান তথা ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য তৃণমূল ত্যাগী এবং বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই নেতার দাবি, বুধবার বিকেলে তাঁর চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেছে রাজভবন। পাশাপাশি, ওই চিঠিতে চন্দ্রশেখরবাবু তৃণমূলের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন।
‘দাদার অনুগামী’ হিসেবে পরিচিত চন্দ্রশেখরবাবু গত ১৭ ডিসেম্বর তৃণমূল ও পুরসভার সব পদ থেকে ইস্তফা দেন। তার পরে ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অমিত শাহের সভায় যোগ দেন বিজেপিতে। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই নানা হুমকি শুনতে হচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কে রয়েছি। তাই রাজ্যপালের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিয়েছি।’’
চিঠিতে চন্দ্রশেখরবাবু লিখেছেন, তৃণমূল কাউন্সিলর ও বরো চেয়ারম্যান হিসেবে পুরসভার কাজ করতে গিয়ে তাঁকে সাম্প্রতিক অতীতে বারবার নানা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। সরকারি প্রকল্পের অর্থ ঘুর পথে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তাঁর উপরে নানা ভাবে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রতিবাদ করলেই হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের সব স্তরের নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রতিশোধ নিতে পারে।’’ পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে চন্দ্রশেখরবাবুর অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র দিলীপ অগস্তি বলেন, ‘‘এ সব হাওয়ায় ভাসানো কথাবার্তা। উনি প্রয়োজনে, নির্দিষ্ট অভিযোগ করতেই পারতেন।’’
তৃণমূলের অন্যতম জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যিনি নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত তাঁকেই আতঙ্কে থাকতে হয়। কাউন্সিলর হওয়ার আগে ও পরে, চন্দ্রশেখরবাবুর নিজের যা আর্থিক পরিস্থিতি, তা তুলনা করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’ বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘চন্দ্রশেখরবাবু যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হন, তা হলে এত দিন চুপ ছিল কেন তৃণমূল? সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছে ওঁরা।’’