ফুটবল বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত দুর্গাপুর।
সকাল ৭টা, শনিবার। দুর্গাপুর স্টেশনের কাছে এক চায়ের ঠেক। আড় ভেঙে বসে কয়েক জন প্রবীণ। অদূরেই, যুবকদের জটলা। যুবকদের জটলা থেকে মেসি, নেমার, রোনাল্ডোদের নাম ভেসে এল। প্রবীণের দল একটু থেমে মাঠে নামালেন পেলে, গ্যারিঞ্চা, মারিও কেম্পেসদের! আজ, রবিবার শুরু বিশ্বকাপ ফুটবল।— তার আগে পাড়ার ঠেক থেকে ক্রীড়া সামগ্রীর দোকান, রেস্তরাঁয় এ ভাবেই ফুটবল-জ্বরে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে শহর দুর্গাপুর। কোমর বাঁধছেন বিভিন্ন ক্লাবকর্তারাও।
শনিবার বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার পাশাপাশি, জার্মানি, ফ্রান্স ও পর্তুগালের জার্সি এবং পতাকা নিয়েও আগ্রহ রয়েছে ক্রেতাদের। আর্জেন্টিনার এক তরুণ সমর্থক বললেন, “এ বার আমাদের দল খুব ভাল। বিশ্বকাপ আসছেই।” পাশে থাকাব্রাজিল সমর্থক তরুণের টিপ্পনী: “আমাদের ফরোয়ার্ড লাইনটা দেখেছেন?” ক্রেতাদের এ সব টুকরো কথা চুটিয়ে উপভোগ করছেন বিক্রেতারাও।
বেনাচিতি বাজারের একটি দোকানে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কয়েক জন জার্সির খোঁজ করছেন। রবিবার ফ্রান্সের ম্যাচ রয়েছে। তাই তাঁদের অধিকাংশই ফ্রান্সের জার্সির খোঁজ করছেন। তাঁদেরই এক জন, কলেজ পড়ুয়া রবীন বিশ্বাস বলেন, “ফ্রান্স বরাবরই আমার প্রিয়। আগের বিশ্বকাপে স্কুলে পড়তাম। এ বারও সে বারের মতো ফ্রান্সের সব ম্যাচ জার্সি পরেই দেখব।” ওই দোকানে ফুটবল কিনতে এসেছিলেন ডিএসপি টাউনশিপের এ-জোনের কিশোর স্নেহাংশু রায়,দেবপ্রিয় দাসেরা। তাঁরা জানান, নিয়মিত ফুটবল খেলেন। বিশ্বকাপ বলে আলাদা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। নতুন বল কিনেছেন। ম্যাচ দেখার পাশাপাশি মাঠেওখেলবেন তাঁরা।
তবে এখনও পর্যন্ত বিক্রিবাটা তেমন জমেনি বলেই জানাচ্ছেন দোকান মালিকেরা। তবে যে ভাবে, সবাই খোঁজখবর করছেন, তাতে ক্রীড়া সামগ্রী, জার্সির বিক্রিতেও জোয়ার আসবে বলে মনে করছেন তাঁরা। একটি দোকানের মালিক সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, “ফুটবলপ্রেমীদের উৎসাহ তুঙ্গে। অনেকেই প্রিয় দলের জার্সি, পতাকার খোঁজ নিচ্ছেন। বিশেষ করে ছোটদের মধ্যে উৎসাহ যেন এ বার বেশি নজরে আসছে। বিক্রিবাটা সবে শুরু হয়েছে। আশা করি পরেরদিকে বাড়বে।”
কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল থেকে বড় স্ক্রিনে খেলা দেখানোর পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে বিভিন্ন ক্লাব। যেমন, ডিএসপি টাউনশিপের আমরা কজন বয়েজ ক্লাব। তারা জানাচ্ছে, প্রতিযোগিতা এগোলেই বড় পর্দায় খেলা দেখানো হবে। একই কথা জানাচ্ছে এমএএমসি টাউনশিপের এরিয়ান ক্লাবও।