Cyber fraud

গ্যাসের ভর্তুকি দিতে চেয়ে ব্যাঙ্কে রাখা টাকা লোপাট, পর পর দু’বার প্রতারণার শিকার কাটোয়ার প্রৌঢ় শিক্ষক

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। তিনি কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত অর্থ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪০
Share:

বার বার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের। নিজস্ব চিত্র।

দু’দুবার সাইবার জালিয়াতির শিকার এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। পুজোর মুখে সাইবার জালিয়াতদের খপ্পড়ে পড়ে তাঁর পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৫৫ হাজার টাকা৷ এখন কীভাবে সংসার চলবে ভেবে আকুল তিনি।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের হাড়ি হাটবাজার এলাকার বাসিন্দা তপনকুমার সার্বভৌম বছর খানেক আগে শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন তিনি৷ মাসিক পেনশনটুকুই সম্বল দু’জনের সংসারে। তাঁরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে দু’বার টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন তিনি৷

তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, গত ২২ অগস্ট তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। সেখানে গ্যাস অফিসের নাম করে বলা হয়, গ্যাসের ভর্তুকি হিসাবে ছ’হাজার টাকা দেওয়া হবে। তার জন্য ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের এটিএম কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য জানতে হবে। এতে সন্দেহ হয়নি প্রৌঢ়ের। অভিযোগ, তথ্য দেওয়ার পরেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তিন ধাপে মোট ৪০ হাজার ৩০০ টাকা গায়েব হয়ে যায়৷

Advertisement

এর পর তিনি কাটোয়া থানায় অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এর মধ্যে ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তাঁর পেনশন অ্যাকাউন্ট আলাদা করেন। ফোন নম্বরও বদলে ফেলেন। অভিযোগ, ৫ সেপ্টেম্বর আবার ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪ হাজার ৯০০ টাকা গায়েব হয়ে যায়। আবার পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রৌঢ়। ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, ‘‘আমার পেনশনের ক’টা টাকা দিয়ে সংসার চলে। প্রতি মাসে যদি এ ভাবে টাকা গায়েব হয়ে যায়, তাহলে খাব কী! খুবই আতঙ্কে আছি।’’

প্রথম বারের রেশ কাটতে না কাটতেই যে ভাবে আবারও প্রৌঢ়ের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে গেল, তা নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীরা। সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সব ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। কাউকেই ব্যাঙ্কের খাতার বিশদ বিবরণ দেওয়া যাবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement