বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসেই ঘুম মন্ত্রীর। টুইটার থেকে নেওয়া।
বন্যায় ডুবেছে কর্নাটক। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী ডেকেছেন বন্যা মোকাবিলা বৈঠক। সেই বৈঠকেই ঘুমে ডুবে গেলেন এক মন্ত্রী। কর্নাটক কংগ্রেস সেই ছবি শেয়ার করেছে নেটমাধ্যমে। ঘটনায় অস্বস্তিতে কর্নাটকের বিজেপি সরকার।
কর্নাটকের একাধিক জেলা জলের তলায়। অবিরাম প্রবল বৃষ্টিতে রাজধানী বেঙ্গালুরুতেও বন্যা পরিস্থিতি। সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত জনজীবন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই রাজ্যের কোষাগার থেকে ৩০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু সমস্যা বাড়িয়েছে অবিরাম বৃষ্টি। কর্নাটকের বেশির ভাগ নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বেঙ্গালুরুর লেকগুলিও উপচে পড়ে ভাসিয়েছে বহু এলাকা।
মঙ্গলবার, তা নিয়েই জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই। সেই বৈঠকে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা ছাড়াও হাজির ছিলেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ এবং আমলারা। প্রায় প্রতি দিনই এই ধরনের বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। খতিয়ে দেখছেন রাজ্যের সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতি। মঙ্গলবারের বৈঠকেও তা নিয়েই আলোচনা হয়। বৈঠক শেষেই কর্নাটক কংগ্রেস দুটি ছবি প্রকাশ করে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের রাজস্ব মন্ত্রী আর অশোকা ঘুমোচ্ছেন। তাঁর আসন মুখ্যমন্ত্রীর আসনের প্রায় মুখোমুখি।
কংগ্রেস এই ছবি দুটি দিয়ে টুইটে কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘কত ধরনের ডোবা হতে পারে? কর্নাটকবাসী যখন বন্যার জলে ডুবছেন, তখন রাজ্যের মন্ত্রী ঘুমে ডুবে রয়েছেন!’
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বেঙ্গালুরুর বেহাল অবস্থা। সে জন্য অবশ্য বেঙ্গালুরুর এই অবস্থার জন্য পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারকেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই। ভুল নগর পরিকল্পনার ফলই এ বার ভুগতে হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, জলে ডোবার পর বোঝা গেল নগর পরিকল্পনায় ভুল ছিল? এ দিকে মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্নাটকে ভারী বৃষ্টি হবে।