তৈরি হচ্ছে জয়দেবের নতুন সেতু। —নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে পূর্ত দফতরের কাজকর্মকে ছাড় দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সরকার। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের জেরে পশ্চিম বর্ধমানে বেশ কিছু কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সে সব প্রকল্পের বেশির ভাগ কাজই ফের শুরু করা হয়েছে বলে দফতরের আধিকারিকেরা জানান।
পূর্ত দফতরের আসানসোল ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ১৩টি প্রকল্পের কাজ রয়েছে। এর মধ্যে ন’টি প্রকল্পের কাজ ফের শুরু হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহসভাপতি সমীর বিশ্বাস বলেন, “বেশির ভাগ কাজই শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
২০১৬-র ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁকসার প্রশাসনিক সভা থেকে জয়দেব থেকে শিবপুর পর্যন্ত নতুন সেতু তৈরির কথা ঘোষণা করেন। ১৬৫ কোটি টাকা খরচে সেতু ও তার দু’পাশে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০২১-এ এই সেতু তৈরি শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “কাজ চলছিল। কিন্তু লকডাউনের ফলে সেতুর কাজ প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকায় কাজ শেষ হতে কিছুটা দেরি হতে পারে। তবে ছাড় মিলতেই ফের কাজ শুরু হয়েছে।” সেতু তৈরির পাশাপাশি, পানাগড়-সিলামপুর রাস্তা সংস্কারের কাজেও হাত দিয়েছে দফতর।
কাজ চালু করা হলেও, করোনা-সতর্কতায় নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে বলে দফতরের কর্তাদের দাবি। প্রত্যেক কর্মীর ‘থার্মাল স্ক্যানিং’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, কর্মীদের ‘মাস্ক’ ব্যবহার আবশ্যক করা হয়েছে। এমনকি, কর্মীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ববিধি কঠোর ভাবে মেনে চলা, দস্তানা পরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে ‘লকডাউন’-এর আগেই শুরু হওয়া পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক সংস্কারের কাজ এখনও বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, রাস্তার বিভিন্ন অংশ থেকে পিচ তোলা হয়েছে। ফলে, পথে বিপত্তি ঘটছে। দফতরের কর্তাদের আশ্বাস, ওই রাস্তা-সহ বাকি চারটি প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু হবে।