Coronavirus in West Bengal

আক্রান্তের সংখ্যায় ফারাকে ধন্দ

রাজ্য সরকারের বুলেটিন অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চার জন। অথচ, জেলা প্রশাসনের দাবি, বুধবার পর্যন্ত জেলায় তিন জন করোনা-আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২০ ০৫:০৪
Share:

বর্ধমান শহরে চলছে ড্রোন দিয়ে নজরদারি। নিজস্ব চিত্র

মঙ্গলবার রাজ্যের দেওয়া জেলাভিত্তিক আক্রান্তের তথ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তথ্যের ফারাক দেখা গিয়েছে। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “সংশোধনীর জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।’’

Advertisement

রাজ্য সরকারের বুলেটিন অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চার জন। অথচ, জেলা প্রশাসনের দাবি, বুধবার পর্যন্ত জেলায় তিন জন করোনা-আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে। প্রত্যেকেই কলকাতা-ফেরত। তিন জনের মধ্যে খণ্ডঘোষের দু’জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। আর বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লির বাসিন্দা, কলকাতার সরকারি হাসপাতালের নার্স কাঁকসার ‘কোভিড-১৯’ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

তা হলে তথ্যে ফারাক কেন? জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায়ের দাবি, “এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবে।’’

Advertisement

জেলায় শেষ করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে সোমবার। বর্ধমান মেডিক্যালে সিবি-ন্যাট যন্ত্রে পরীক্ষার সময়ে ওই মহিলার দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। তার আগে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে খণ্ডঘোষের এক ব্যক্তির দেহে করোনার প্রমাণ মিলেছিল। তিনি কলকাতা থেকে মোটরবাইকে করে খণ্ডঘোষে এসেছিলেন। তার কিছু দিনের মধ্যে ওই ব্যক্তির নিকটাত্মীয় বালিকার দেহেও করোনাভাইরাস মেলে। বর্তমানে দু’জনেই সুস্থ। ওই দু’জনের সংস্পর্শে আসা ৭৩ জনের লালারস পরীক্ষা হয়। প্রত্যেকের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’, দাবি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। তবে এখনও ওই এলাকা ‘গণ্ডিবদ্ধ’ হয়ে রয়েছে।

জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের ধারণা, পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা অথচ কলকাতা বা অন্য কোনও জেলায় করোনা-আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এমন কারও নাম রাজ্যের তথ্যে থাকতে পারে। তবে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানাতে পারেননি তাঁরা।

এ দিনই কেতুগ্রামের একটি গ্রামের ২৩ জন বাসিন্দার নমুনা পরীক্ষার জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, কলকাতায় এক করোনা-আক্রান্তের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন এক ব্যক্তি সোমবার বিকেল ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কেতুগ্রামের ওই গ্রামে ছিলেন। সিএমওএইচ বলেন, “পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে যাঁরা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের খোঁজ করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় করোনা-পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement