কারখানায় কাজ চলছে। -নিজস্ব ছবি।
করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক এবং পিপিই কিট তৈরি করে কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে আসানসোলের জামুড়িয়ার একটি ব্যাগের কারখানা। পাশাপাশি পরিস্থিতি অনুযায়ী কী ভাবে ব্যবসার মোড় ঘুরিয়ে লাভ করা যায়, তা-ও হাতেনাতে শেখাচ্ছে কারখানাটি। এই কারখানায় তৈরি মাস্ক, পিপিই কিট শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়ায় ওই কারখানাটিতে মূলত কাপড়ের ব্যাগ তৈরি হত। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতিতে এই শিল্পাঞ্চলের একটির পর একটি কারখানা বন্ধ হতে শুরু করে। লাভ না হওয়ায় এই কারখানাটির উপরেও প্রভাব পড়তে শুরু করে। গত বছরই কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের কর্মীদের কথা ভেবে এবং কারখানা চালু রাখতে অভিনব উপায় বার করেন।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা ব্যাগের পরিবর্তে মাস্ক এবং পিপিই কিট তৈরি করতে শুরু করেন। চিন এবং ব্রিটেন থেকে বিশেষ মেশিনও আনাতে হয়েছে তাঁদের। এই কারখানায় কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই মহিলা। ফলে মহিলাদের কর্মসংস্থানেরও পথ খুলে দিয়েছে এই কারখানা।
পাশাপাশাপ কর্মীদের যাতে কোনও সংক্রমণ না ঘটে সে দিকেও নজর রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। তাই কারখানার গাড়ি করে কর্মীদের বাড়ি থেকে যেমন নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছেন কর্তৃপক্ষ তেমন কাজের সময় এবং বন্ধের পরেও পুরো কারখানা নিয়ম মেনে জীবাণুমুক্ত করা হয়ে থাকে বলে জানালেন কারখানারই এক কর্মী সঞ্চয়িতা বিশ্বাস।
কারখানার মালিক অবিনাশ শর্মা বলেন, “কাপড়ের ব্যাগ তৈরি হত। মাস্কও কাপড়ের। তাই কাঁচামাল যখন সমস্ত মজুতই রয়েছে এই সময়ে ব্যাগের বদলে মাস্ক তৈরি করাটাই বেশি জরুরি বলে মনে হয়েছিল।”