এএসপি-তে সমাবেশ। নিজস্ব চিত্র
করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতে স্কুল-কলেজ আপাতত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। জনসমাগমে রাশ টানতে বন্ধ রাখা হয়েছে নানা খেলা। জমায়েত এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু তার পরেও নানা অনুষ্ঠান বা সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে নানা তরফে। সোমবারও জেলার নানা প্রান্তে আয়োজিত হল এই রকম বেশ কিছু কর্মসূচি।
তৃণমূলের অণ্ডাল ব্লক কমিটির তরফে এ দিন নর্থবাজার এলাকায় ‘হোলি মিলন উৎসব’ আয়োজন করা হয়। দল সূত্রের খবর, শ’তিনেক লোক হাজির ছিলেন। দলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি শশী চৌবের দাবি, এ দিন অনুষ্ঠান হবে, তা অনেক দিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় হলের মধ্যে মৃদু আওয়াজে বক্স বাজিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। সেই সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, আপাতত আর কোনও অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে না।
সিপিএম নেতা প্রবীর মণ্ডল, বিজেপি নেতা জয়ন্ত মিশ্রদের দাবি, এই ধরনের অনুষ্ঠান করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন শাসকদলের নেতারা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির অবশ্য দাবি, এ দিন অণ্ডালের ওই উৎসবের মঞ্চ দলের কর্মী-সমর্থকদের করোনা নিয়ে সতর্ক করার মঞ্চ হিসাবেই ব্যবহার করা হয়েছে। অণ্ডালের বিডিও ঋত্বিক হাজরা জানান, জনসমাগমে বিধিনিষেধের কোনও সরকারি নির্দেশ মেলেনি।
এ দিনই দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে (এএসপি) বিভিন্ন ঠিকা ও অস্থায়ী কর্মীদের দাবি নিয়ে স্মারকলিপি কর্মসূচি নেয় আইএনটিইউসি এবং আইএনটিটিইউসি। সোমবার বিকালে এই কর্মসূচিতেও করোনা সংক্রান্ত কোনও সাবধানতা নজরে আসেনি। এমনকি, পরীক্ষা-বিধি অমান্য করে লাউডস্পিকার ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে।
এএসপি-তে এখন অধিকাংশ কাজই করেন ঠিকা ও অস্থায়ী কর্মীরা। এক-এক শিফ্টে ন’শো থেকে হাজার জন ঠিকাকর্মী কাজ করেন। কিন্তু তাঁদের সবার জন্য কর্তৃপক্ষ একই বেতন নির্দিষ্ট করে রেখেছেন বলে বিভিন্ন কর্মী সংগঠনের অভিযোগ। কাজের চরিত্র অনুযায়ী বেতন স্থির করার দাবিতে এ দিন মূলত এই দাবি নিয়েই আইএনটিইউসি এবং আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত দুই ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের তরফে কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সভার ভিড়ে কাউকে করোনা নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে দেখা যায়নি। জেলা আইএনটিইউসি সভাপতি বিকাশ ঘটক বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে আমরা সবাই সচেতন রয়েছি। তবে এ দিন হয়তো সে ভাবে সাবধানতা নেওয়া হয়নি।’’ লাউডস্পিকার ব্যবহার প্রসঙ্গে বিকাশবাবু দাবি করেন, ‘‘ঘেরা জায়গায় কর্মসূচি হয়েছে। আশেপাশে বসতি নেই। কম শব্দে লাউডস্পিকার বেজেছে।’’