দুই কারখানার গোলমাল জমি নিয়ে, জখম ২

জামুড়িয়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিল্পতালুকে সিঙ্গারন নদীর পাড়ে ওই দু’টি কারখানার মাঝে প্রায় ২৫ একর খাস জমি রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ২৪ একর জমি একটি কারখানাকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। এক একর জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই জমি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে দু’টি কারখানার মধ্যে ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০২
Share:

জামুড়িয়ার বিজয়নগর শিল্পতালুকে তখন চলছে বিবাদ। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

জমির মালিকানাকে কেন্দ্র করে শনিবার দু’টি কারখানার মধ্যে গোলমাল বাধল পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার বিজয়নগর শিল্পতালুকে। সংঘর্ষে দু’জন জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। দু’টি কারখানার তরফেই জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

জামুড়িয়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিল্পতালুকে সিঙ্গারন নদীর পাড়ে ওই দু’টি কারখানার মাঝে প্রায় ২৫ একর খাস জমি রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ২৪ একর জমি একটি কারখানাকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। এক একর জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই জমি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে দু’টি কারখানার মধ্যে ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ একর জমি যে কারখানার হাতে রয়েছে, সেটির কর্তৃপক্ষ জমিটি টিন দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। সেখানে তাঁদের বিভিন্ন যানবাহন রাখা থাকে। নিরাপত্তার জন্য তিন জন রক্ষীও মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ অন্য কারখানার দিক থেকে জনা তিরিশ বহিরাগত এসে রক্ষীদের উপরে হামলা চালায়। তা দেখে ওই কারখানার কর্মীরা বেরিয়ে এসে তাড়া করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেন, দুষ্কৃতীরা লাঠি, রড ও পাথর নিয়ে চড়াও হয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষী শঙ্কর বার্নোয়াল ও বিধানচন্দ্র তিওয়ারি তাদের হাতে প্রহৃত হয়ে রানিগঞ্জের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

যে কারখানার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে, সেটির আধিকারিক নিরঞ্জন গোস্বামী দাবি করেন, ‘‘ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর ২৪ একর জমি ওদের দিয়েছে। জমি দেওয়ার অনুমতিপত্রে ওই দফতর পরিষ্কার জানিয়েছে, লাগোয়া এক একর আমাদের প্রয়োজন। তাই ফাঁকা রাখা হয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমাদের পড়শি কারখানা ওই জমিটিও ঘিরে নিতে চাইছে। তার প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় আমাদের কর্মীদের উপরেই আক্রমণ করা হয়। আমাদের কারখানার সামনে দাঁড়ানো কয়েকটা গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।’’

অন্য কারখানাটির আধিকারিক সুমিত চক্রবর্তীর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমরা ২৪ একর জমি ব্যবহার করছি। এক একর ফাঁকা জমি ঘিরে নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। জোর করে ওরাই আমাদের প্রায় এক একর জমি ঘিরে নিতে চাইছে। সে জন্যই রক্ষীদের মারধর করা হয়েছে।”

জামুড়িয়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক গোলাম মির্জা বলেন, ‘‘এক একর খাস জমি কাউকে দেওয়া হয়নি। সেই জমিকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হয়েছি শুনেছি। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।’’ পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement