প্রতীকী ছবি।
'লকডাউন’ ও ঘূর্ণিঝড়ে দলের পাঠানো ত্রাণ না পেয়ে জেলা সভাপতির বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। দলীয় পতাকা হাতে, পদ্মফুলের প্রতীক আঁকা ‘মাস্ক’ পরে চলছিল বিক্ষোভ। আচমকা বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দু’-এক জন স্লোগান দিয়ে ওঠেন, ‘ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে যুব তৃণমূল লড়ছে, লড়বে’। বিজেপির কর্মীদের মুখে তৃণমূল-নামের ভিডিয়ো (যার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) সঙ্গে সঙ্গেই ‘ভাইরাল’ হয় ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য়। দলের জেলা সভাপতি (কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষ তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। যদিও ওই বিক্ষোভকারীদের দাবি, মুখ ফস্কে ওই ‘কাণ্ড’।
শুক্রবার ওই ভিডিয়োটি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের অনুগামীরা দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছেন। হাতে বিজেপির ঝান্ডা ধরে থাকলেও বিক্ষোভকারীরা তৃণমূলের হয়েই কাজ করছেন, অভিযোগ তাঁদের। যদিও বিক্ষোভকারীদের পাল্টা দাবি, এ সব ‘ছোটখাট’ ভুলে নজর টেনে প্রতিবাদকে লঘু করে দেখানো হচ্ছে। জেলা সভাপতি তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁত করে দলের ক্ষতি করছেন, গরিব কর্মীদের ত্রাণ দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ কাটোয়া শহরের কারবালাতলায় মণ্ডলহাট, ইঁদারাপাড় ও পানুহাট এলাকার বেশ কিছু বিজেপি কর্মী ওই বিক্ষোভ দেখান। ‘ভিডিয়ো ক্লিপিং’-এ দেখা যাচ্ছে, এক জন তৃণমূলের নাম করতেই তা সংশোধন করে দেন পাশে থাকা কর্মী। কিন্তু ‘ভুল’ ততক্ষণে বন্দি ক্যামেরায়। বিক্ষোভে যোগ দেওয়া বিজেপির কাটোয়া ৪১ নম্বর জেলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল মণ্ডল এ দিন দাবি করেন, ‘ত্রাণ নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে কেউ ভুল করে যুব তৃণমূলের নামে স্লোগান দিয়ে ফেলেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই তা সংশোধন করে হয়েছে। জেলা সভাপতি সে ভিডিয়ো রাজ্যের কাছে পাঠিয়ে আমাদের তৃণমূল বানানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু, তা সফল হবে না।’’
জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের দাবি, “দলীয় কর্মসূচিতে বাইরে ছিলাম। বিক্ষোভের সময়ে ভিডিয়োয় যুব তৃণমূল জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। আমাদের কর্মীরা এই স্লোগান দিতে পারেন না। আমার বিরুদ্ধে তৃণমূল চক্রান্ত করছে।’’
যদিও কাটোয়ার বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘বিজেপি নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে আমাদের দলের নাম জড়াচ্ছে। এ ভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় না।’’