দুর্গাপুরে নানা জায়গায় পড়েছে এমন পোস্টার। ছবি: বিকাশ মশান।
২০২৩-এর শেষ দিনে আচমকা কলকাতা, উত্তরবঙ্গ-সহ নানা জায়গায় ভেসে উঠেছিল ‘বাংলায় বিকল্প রাজনীতির’ বার্তা দেওয়া পোস্টার। সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জেও এই ধরনের পোস্টার দেখা গিয়েছিল। শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরেও দেখা গেল এই পোস্টার। এই পোস্টারগুলি কারা সাঁটিয়েছেন, তা নিয়ে এখনও ধন্দ অব্যাহত। তবে ‘বিকল্প রাজনীতি’ শব্দবন্ধটি নিয়ে জেলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তরজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিটি সেন্টারে মহকুমাশাসকের কার্যালয়, আদালত-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের দেওয়ালে পোস্টারগুলি নজরে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কেউ এই পোস্টারগুলি সাঁটিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। তবে কে বা কারা তা করেছেন, সেটা নিয়ে ধন্দ কাটেনি। ঘটনা হল, সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু দিন ধরেই ‘বিকল্প রাজনীতি’, এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা কৌস্তভ বাগচীকে। তবে, তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, কে বা কারা এই পোস্টার সাঁটিয়েছেন, তা তাঁর জানা নেই।
তবে, যিনি বা যাঁরা এই ধরনের পোস্টার সাঁটিয়ে থাকুন না কেন, শব্দবন্ধটি নিয়ে মূল ধারার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তরজা। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায়সরকার বলেন, “ঘোষিত ভাবেই আমরা তৃণমূল আর বিজেপির তানাশাহির বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই জন্য রাতের অন্ধকারে নামহীন পোস্টার দিতে হয় না। তবে সত্যিই যদি কেউ তৃণমূল ও বিজেপির বিকল্পের কথা বলেন, তা হলে অবশ্যই ভাবার অবকাশ থাকবে।” দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই আবার বিষয়টির নেপথ্যে তৃণমূলের যোগসূত্র দেখছেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের নানা প্রান্তের মতো দুর্গাপুরেও বিকল্প রাজনীতির পোস্টার পড়েছে। তবে বাংলায় বিকল্প রাজনীতি বলতে বিজেপি। তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস এক হয়ে গিয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে বিকল্প রাজনীতির পোস্টার দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তৃণমূল।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি রমাপ্রসাদ হালদার। তাঁর সংযোজন: “পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ নেই। বিরোধীরা সেটা জেনেই এমন অপপ্রচারে নেমেছে।”