Bardhaman

ক্ষতিপূরণের জটে দু’বছর থমকে তালিত রেল উড়ালপুল

কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন যাওয়ার পথে পর্যটকদের যন্ত্রণার জায়গা দুটো। বোলপুরে ঢোকার মুখে আউশগ্রামের ভেদিয়ার কাছে একফুঁকো (সরু আন্ডারপাস) আর বর্ধমান শহরের কাছে তালিতের রেলগেট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৪
Share:

তালিত রেলগেটে যানজট। —নিজস্ব চিত্র।

মাত্র ন’একরের মতো জমি হাতে না পাওয়ায় দরপত্র ডাকার দু’বছর পরেও জট কাটছে না বর্ধমান শহরের কাছে তালিতের রেল উড়ালপুলের। একই সময়ে দরপত্র ডাকা বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের আউশগ্রামের ভেদিয়ার ‘এক ফুঁকোর’ উপরে রেল উড়ালপুলের সংযোগকারী রাস্তা-সহ প্রাথমিক কাজ প্রায় শেষের দিকে। বর্ধমান-সিউড়ি (জাতীয় সড়ক ২বি) রাস্তার উপরে থাকা দু’টি রেল উড়ালপুলের হাল দু’রকমই।

Advertisement

কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন যাওয়ার পথে পর্যটকদের যন্ত্রণার জায়গা দুটো। বোলপুরে ঢোকার মুখে আউশগ্রামের ভেদিয়ার কাছে একফুঁকো (সরু আন্ডারপাস) আর বর্ধমান শহরের কাছে তালিতের রেলগেট। বর্ধমান-আসানসোল লাইনে রাজধানী, শতাব্দী, বন্দে ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন যাতায়াত করে। চলে প্রচুর দূরপাল্লা বা লোকাল ট্রেনও। ফলে, বেশির ভাগ সময়েই রেল গেট বন্ধ থাকে। এক বার রেলগেট বন্ধ হলেই লাগে যানজট। জট কাটাতে কখনও কখনও চার-পাঁচ ঘণ্টাও লেগে যায়। দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে ওই দুই জায়গাতেই উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় রেল। উড়ালপুল তৈরির দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য পূর্ত দফতরের রেল ওভারব্রিজ ইউনিটের হাতে।

ওই দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের জুন মাসে উড়ালপুল তৈরির জন্য দরপত্র ডাকা হয়। তাতে ভেদিয়ায় ২১৫০ মিটার লম্বা উড়ালপুল আর সার্ভিস রোডের জন্য খরচ ধরা হয় ১৬৭ কোটি টাকা। অগস্ট থেকে কাজ শুরু হয়ে যায়। আর তালিতে উড়ালপুল তৈরির জন্য খরচ ধরা হয় ১৪৬ কোটি টাকা। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২২৩ কোটিতে। তালিতে ২২০০ মিটারের উড়ালপুল আর সার্ভিস রোডের জন্য ২৬ একর জমির প্রয়োজন ছিল। তার মধ্যে ১৭.৫৩৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

বাকি জমি না পাওয়ায় কারণ?

জেলা প্রশাসন ও পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, রাস্তার ধারের জমি ও নয়ানজুলি হওয়ায় সরকারের খতিয়ানভুক্ত বলে ধরা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ওই সব জমির মালিকেরা পরচা দেখিয়ে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেন। ভূমি দফতরের খাতায় জমির মালিকানা পরিবর্তন না হওয়ায় ওই সব জমির জন্য পরচার মালিকদের সেই ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য।

প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই জমির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিপূরণের জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে। সেই টাকা এলেই মালিকদের দিয়ে দেওয়া হবে।’’

পূর্ত দফতরের আরওবি ইউনিটের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ঈশ্বর মান্ডি বলেন, ‘‘৯০ শতাংশ জমি হাতে না এলে কাজের বরাত দেওয়া হয় না। আশা করছি, পুজোর আগেই বাকি নয় একর জমি আমাদের হাতে চলে আসবে। ভেদিয়ার কাজও দ্রুত হয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement