Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: রাজস্থানের বাড়ির নাম সেখানকার ভাষায় হলে বাংলায় কেন নয়? কথা বলতে দিল্লি যাবেন মমতা

কেন্দ্র যত দিন না বকেয়া টাকা দিচ্ছে, তত দিন এই প্রকল্পে নতুন নাম নথিভুক্ত হবে না। কিন্তু ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত ব্যক্তিরা কিস্তির টাকা পাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২২ ১৭:১৭
Share:

ফাইল চিত্র।

সাধারণ মানুষের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রকল্প নিয়ে তিনি যে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সঙ্ঘাতে যাচ্ছেন, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম নিয়ে যে কেন্দ্র-রাজ্য সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা-ও মানতে চাননি তিনি।

Advertisement

মমতার প্রশ্ন, ‘‘রাজস্থানের বাড়ি যদি রাজস্থানের ভাষায় হতে পারে, গুজরাতের বাড়ি যদি সে রাজ্যের ভাষায় হয় তাহলে বাংলার বাড়ির নাম বাংলায় দিলে কার সমস্যা?’’

রাজ্যে যে সমস্ত সরকারি প্রকল্প চলছে, তার মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প চলে কেন্দ্র ও রাজ্যের মিলিত অর্থে। আবার শুধু মাত্র কেন্দ্র বা রাজ্যের টাকায় চালু প্রকল্পও রয়েছে। সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি হয়েছে তেমনই কিছু প্রকল্পের নাম নিয়ে। নবান্নের অভিযোগ, যে সমস্ত প্রকল্পে রাজ্যও টাকা দেয়, সেগুলিতেও কেবল মাত্র কেন্দ্রের ছবি দিয়ে প্রচার চাইছে মোদী সরকার। একাধিক প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দও বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।

Advertisement

সেই প্রসঙ্গেই বুধবার দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘নামের আবার কী সঙ্কট! রাজস্থানের বাড়ি, গুজরাতের বাড়ি যদি ওদের নামে হতে পারে, তাহলে বাংলার বাড়ি কেন বাংলায় হবে না? এটা আমার অধিকার!’’ কেন্দ্র কেন প্রদেয় অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করল, তা নিয়ে জানতে এবং বকেয়া টাকা আদায় করতে দিল্লি যাবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেটা যত দিন না হচ্ছে, তত দিন বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নতুন করে কারও নাম নথিভুক্ত করতে বারণ করে দেন মমতা। বলেন, ‘‘কেন্দ্র এখনও তালিকা ঠিক করেনি। আপনারা যে তালিকা করেছিলেন, সেগুলো মুছে দিয়েছে।’’

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে নতুন নাম না নেওয়া হলেও, ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত যাঁদের কিস্তির টাকা এখনও বাকি আছে, তাঁরা যথারীতি টাকা পাবেন বলেও জানানো হয়েছে। এ জন্য রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ১,২০০ কোটি টাকার সংস্থান করে ফেলেছে বলেন জানান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্র কী করে টাকা বন্ধ করে দিতে পারে! এই প্রকল্পে আমরাও ৪০ শতাংশ টাকা দিই। আমায় জানতে হবে, কোন অপরাধে আমাদের অপরাধী করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement