প্রতীকী ছবি
ছ’মাস বন্ধ থাকার পরে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাইরের সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স ও থিয়েটার হল খোলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। কিন্তু জেলার বেশির ভাগ সিনেমা হল বা মাল্টিপ্লেক্স আজ খুলবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। হল মালিকদের দাবি, প্রস্তুতি চলছে। প্রেক্ষাগৃহে জীবাণুনাশ করা-সহ নানা কাজও চলছে।
বর্ধমানের একটি মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রেক্ষাগৃহ খোলার সরকারি অনুমতি তাঁরা পেয়ে গিয়েছেন। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, সব রকমের প্রস্তুতিও নিয়েছেন। কর্মীরা যাতে স্বাস্থ্য-বিধি মানেন, সেই ব্যবস্থাও কঠোর ভাবে নেওয়া হয়েছে। তবে ওই সংস্থার আঞ্চলিক অধিকর্তা (পূর্বাঞ্চল) অমিতাভ গুহ ঠাকুরতা জানিয়েছেন, তাঁরা কবে থেকে দর্শকদের জন্য মাল্টিপ্লেক্স খুলে দেবেন তা ঠিক হয়নি এখনও। তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভাবে অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ বর্ধমান শহরে সংস্কৃতি লোকমঞ্চের ভিতরে মেট্রো সিনেমা হলও কবে খুলবে তা জানাতে পারেনি জেলা পরিষদ।
মেমারির কৃষ্টি প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া নিয়ে সিনেমা দেখায় একটি দেশীয় সংস্থা। সেখানকার এক কর্তা বুধবার বলেন, ‘‘সংস্থার প্রধান দফতর থেকে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি। তবে আমরা প্রস্তুত।’’ মেমারি শহরে বামুনপাড়া মোড়ে একটি সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের আবার দাবি, কাল, শুক্রবার থেকে হল চালু করা হবে। ওই সিনেমা হলের মালিক রামকৃষ্ণ হাজরা বলেন, ‘‘সরকারের নির্দেশিকা মেনে ৫০ শতাংশ আসনের জন্য টিকিট বিক্রি করা হবে। একটি করে আসন ফাঁকা রাখা হবে। টিকিট অনলাইনে কাটতে হবে।’’ কালনার ধাত্রীগ্রামের একটি হল কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, অনলাইনে টিকিটের ব্যবস্থা না থাকলেও সরকারের সমস্ত নির্দেশিকা মেনে বৃহস্পতিবার সিনেমা হল খুলবেন তাঁরা।
এ মাসের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছিল, ১৫ অক্টোবর থেকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাইরে সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স এবং থিয়েটার খুলবে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রুখতে নির্দেশিকাও জারি করে সরকার। সেখানে হল জীবাণুমুক্ত করা ও দর্শকদের মধ্যে অন্তত ছ’ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়। আর বাইরে লাইন দেওয়া থেকে, হলের ভিতরে বসে ছবি দেখা, মুখে মাস্ক রাখতে হবে সারাক্ষণ। নইলে হলে ঢোকা যাবে না। প্রবেশ ও বাইরের রাস্তা সব জায়গাতেই হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা রাখতেও বলা হয়। তবে গোটা ব্যাপারটাই হতে হবে সরাসরি স্পর্শ ছাড়া। এ ছাড়া, প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে শুধু উপসর্গহীনদের ঢুকতে দেওয়া হবে, প্রত্যেককে থার্মাল স্ক্রিনিং করানোর কথা বলা হয়েছে। মাল্টিপ্লেক্সের সব হলে এক সঙ্গে সিনেমা চালানো যাবে না, জানানো হয় তা-ও। তবে বিধি মেনে পুজোর আগে হল খোলার অনুমতি পাওয়া ইতিবাচক, মনে করছেন জেলার বেশির ভাগ হল মালিক।
কাটোয়ার একটি সিনেমা হলের মালিক সুবীর দে বলেন, ‘‘সংস্থা থেকে সিনেমা হল খুলতে বলেছে। এটা ইতিবাচক। তবে এখনও আমরা প্রস্তুত নই।’’ গুসকরার প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া নিয়ে সিনেমা হল চালান বোলপুরের বাসিন্দা মলয় পিট। তিনিও বলেন, ‘‘অনেকদিন বন্ধ ছিল। পরিকাঠামো ঠিক করে তবে খুলব। আশা করছি, পুজোর আগেই খুলে দিতে পারব।