নিজস্ব চিত্র
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস খুনের ঘটনায় তদন্তের ভার হাতে নিল সিআইডি। দায়িত্ব পেয়েই শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান সিআইডি-র পাঁচ সদস্যের একটি দল। সঙ্গে ছিলেন ফরেন্সিক বিভাগের পাঁচ জন। খুনের কিনারা করতে ঘটনাস্থল খুঁটিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা।
১২ জুলাই রাতে মঙ্গলকোটের লাখুড়িয়ার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীমকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। খুনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বিশেষ তদন্তাকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছিল। এ বার সরাসরি খুনের কিনারার ভার সিআইডি-র হাতেই দেওয়া হল।
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে অসীমকে। যদিও এখনও পর্যন্ত ধৃত দু’জনই তৃণমূলের কর্মী হওয়ায় এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে গ্রাম্য রাজনীতির তত্ত্বও প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছে। খুনের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই সিট গঠন করে তদন্তে নামে পুলিশ। পেশাদার হাতেই গুলি চালানো হয় বলে প্রাথমিক তদন্তের পর এক প্রকার নিশ্চিত হন পুলিশ আধিকারিকরা। চার জনকে ডেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তার পর বুধবার রাতে সাবুল শেখ এবং সামু শেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।
শুক্রবার সিআইডি-র তদন্তকারী দল প্রথমে মঙ্গলকোট থানায় যায়। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর দলের সদস্যরা যান নতুনহাট গুসকরা রোডের ধারে সিউর মোড়ের কাছে ঘটনাস্থলে। সেখানে রয়েছে রক্তের দাগও। সিআইডি-র গোয়েন্দারা সেই জায়গা খুঁটিয়ে দেখেন। জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ আধিকারিকদেরও।