নিজস্ব চিত্র
একই অঙ্গে কত রূপ! কখনও সে সিবিআই অফিসার, কখনও বা পুলিশ আধিকারিক। কখনও আবার মানবাধিকার সংগঠনের উচ্চপদস্থ কর্মী, আবার কখনও সংবাদিক। এমনই নানা ছকে প্রতারণার অভিযোগ চিত্তরঞ্জনের মুন্না ডোম ওরফে এমকে সিংহের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি চিত্তরঞ্জন থেকে পালিয়ে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় প্রতারণা শুরু করেন তিনি। সেখানেই দোকান থেকে তোলা আদায় করতে গিয়ে ধরা পড়েন হাতেনাতে। আপাতত ঝাড়খণ্ড থেকে চিত্তরঞ্জনে তাঁকে নিয়ে এসেছে পুলিশ।
অনেকেই অভিযোগ করেছেন, কাউকে চাকরি দেওয়ার নাম করে, কাউকে আবার সিবিআই আধিকারিক সেজে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করতেন মুন্না। চাকরির নামে এক একজনের থেকে ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছিলেন তিনি। তারপরেই পালিয়ে যান চিত্তরঞ্জন থেকে।
তারপর প্রতারণার চক্র তিনি শুরু করে ঝাড়খণ্ডের দুমকায়। এর মধ্যে লকডাউন শুরু হয়। তারপর তিনি জেলাশাসক সেজে তোলা আদায় করতে শুরু করেন। একসময়ে দোকান থেকে তোলা আদায়ের সময়ে হাতেনাতে ধরে ধরা পড়েন মুন্না। স্থানীয় মানুষরাই তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সেই মুন্নাকেই শুক্রবার ঝাড়খণ্ড থেকে ৬ দিনের প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে এ বার চিত্তরঞ্জনে নিয়ে এল পুলিশ।
ইতিমধ্যে পুলিশ মুন্নার কাছ থেকে নকল সিবিআই অফিসারের পরিচয়পত্র, সাংবাদিকের পরিচয়পত্র, পুলিশের লাঠি, মানবাধিকার সংগঠনের আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে।