‘ইনসাফ যাত্রা’-য় পা মেলাল শিশুরা। — নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমানে ‘ইনসাফ যাত্রায়’ হাঁটল খুদেরা। হাতে রাজনৈতিক ব্যানার। সেই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল শিশুসুরক্ষা কমিশন। রাজ্যের শাসকদলের খোঁচা, ভিড় বৃদ্ধি করতে এ সব করছে বামেরা। সিপিএমের দাবি, কেউ জোর করে ওদের আনেনি। বাবা-মায়েদের সঙ্গে পা মিলিয়েছে ওরা।
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ‘ইনসাফ যাত্রা’ রবিবার ২৪তম দিনে পা দিয়েছে। রবিবার জামালপুর থেকে রায়না-খণ্ডঘোষ হয়ে ‘ইনসাফ যাত্রা’ তেলিপুকুর হয়ে বর্ধমান শহরে পৌঁছয়। তাতে যোগ দিয়েছেন ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। ওই পদযাত্রাতেই ব্যানার হাতে হাঁটতে দেখা যায় খুদেদের। তারা জানায়, বাড়ির সকলকে থাকতে বলা হয়েছিল। বাড়ির সকলে যোগ দিয়েছেন, বলে তারাও রয়েছেন।
এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্য শিশুসুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। এই ধরনের ঘটনায় ‘শিশু সুরক্ষা’ লঙ্ঘন হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত করে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনকে রিপোর্ট দিতে বলব।” এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক দল। তৃণমূল যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদার বলেন, “মানুষ আর পাশে না থাকলে যা হয়! ভিড় বাড়াতে ওদের এখন কচিকাঁচারাই ভরসা। অথচ এ নিয়ে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। এতে শিশু সুরক্ষা আইন লঙঘিত হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’’
মিছিলে থাকা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য বিনোদ ঘোষ বলেন, ‘‘একটা প্রবাদ রয়েছে, যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। তৃণমূলের অবস্থাটা এখন এ রকমই হয়েছে। ওই খুদেরা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দিতে আসে। তার পর তাঁরা খুশিতে পদযাত্রায় খানিকটা হেঁটে চলে যায়। ওদের বাবা-মায়েরা ইনসাফ চাইতে মিছিলে পা মিলিয়েছিল। তাই ওই খুদেরা তাঁদের বাবা-মায়ের সঙ্গেই চলে এসেছিল। কেউ জোর করে ওদের মিছিলে পা মেলাতে বলেনি। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তৃণমূল এ নিয়ে জলঘোলা করছে।” ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক অয়নাংশু সরকার দাবি করেন, বর্ধমান শহরের মিছিলে তিনি কোনও খুদেকে হাঁটতে দেখেননি।