সিদ্ধার্থ রানা। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সিদ্ধার্থ রানার ‘হম্বিতম্বি’র ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার আসানসোলের জামুড়িয়ায় তপসি রেল ব্রিজের নীচে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। ব্লক সভাপতির উপস্থিতিতে তাঁরই গাড়িচালক অন্য এক গাড়িচালককে মারধর করে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন। রক্তাক্ত দৃশ্য দেখে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন পথচারীরা। এমনকি, সিদ্ধার্থের গাড়ি ঘিরে ধরেন সাধারণ মানুষেরা। শুধু তাই নয়, সিদ্ধার্থের এমন হম্বিতম্বি আচরণ ক্যামেরাবন্দি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে নিমিষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আসানসোল থেকে জামুড়িয়া ফিরছিলেন সিদ্ধার্থ। তপসি ব্রিজের কাছে ট্রেন চলাচলের কারণে রেলগেট বন্ধ ছিল। গেট খোলার পর যানজট তৈরি হয়ে যায়। অনেকেই রাস্তার ভুল দিকে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েন। এ রকমই এক গাড়িচালক ভুল দিকে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়তেই তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সভাপতির গাড়িচালক। বচসা থেকে বেধড়ক মারধর পর্যন্ত গড়ায়। স্থানীয়দের দাবি, সিদ্ধার্থের চালক হুমকির সুরে ওই ব্যক্তিকে জানান, তাঁর মাথার উপর তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে। কেউ কিছু করতে পারবে না বলে আভিযোগ।
ওই ঘটনার পর সিদ্ধার্থ বলেন, “ঝামেলার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। গাড়ি পাশে দাঁড় করিয়ে বাথরুমে গিয়েছিলাম। এসে দেখি এক ভদ্রলোকের মাথা থেকে রক্ত বেরোচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ দেব। তা ছাড়া তিনি যদি সাত দশ দিন চাকরিতে অনুপস্থিত থাকেন তার যাবতীয় খরচও বহন করব। তবে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে কেউ কিছু শুনতে চাইছিলেন না।” সিদ্ধার্থের দাবি, তাঁর গাড়িচালক গাড়ি থেকে বাইরে বার হননি। তিনি কোনও ভাবেই এই হাতাহাতির সঙ্গে জড়িয়ে নেই। সিদ্ধার্থ আরও জানান, ঘটনাটি কী ভাবে ঘটল সেটা তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না।
বিজেপি আসানসোল জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যে ভাবে কংগ্রেস গোটা দেশ থেকে এক প্রকার শেষ হয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই ভাবেই তৃণমূলও শেষ হয়ে যাবে। কেউ তাদের নেতাকর্মীকে খুঁজে পাবে না। তাদের সম্বন্ধে কারও কাছে কোনও খবর থাকবে না। তৃণমূল কর্মী থেকে নেতা সকলেই যে ভাবে অত্যাচার শুরু করেছে গোটা রাজ্য জুড়ে, তাতে সাধারণ মানুষ চরম বিপদে পড়ছে।”