‘অভয়া ক্লিনিক’। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে চিকিৎসকদের। তার পাশাপাশি, কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় ‘অভয়া ক্লিনিক’ খুলে পরিষেবা দিচ্ছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। এই পরিস্থিতিতে ‘অভয়া ক্লিনিক’ বন্ধের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। চিকিৎসকদের দাবি, কিছু ব্যক্তি নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করে ‘অভয়া ক্লিনিক’ বন্ধ করতে চাইছেন। এই ঘটনাটি কেন্দ্র করে মেমারিতে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
আয়োজক চিকিৎসকদের দাবি, পুজোর মধ্যে চিকিৎসকদের সংখ্যা কম থাকায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষেরা। তাই মেমারিতে একটি পুজো কমিটির সহযোগিতায় শনিবার ‘অভয়া ক্লিনিক’ শুরু করার কথা ভেবেছিলেন ডাক্তারেরা। কিন্তু চিকিৎসকদের অভিযোগ, কিছু ব্যক্তি ওই পুজো কমিটিকে নানা ভাবে চাপ দিয়েছেন। সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দিয়েও চাপ সৃষ্টি করা হয় যাতে ‘অভয়া ক্লিনিক’ বন্ধ থাকে। থানা থেকেও ফোন করা হয়। এর ফলে, শনিবার থেকে ‘অভয়া ক্লিনিক’ শুরু করা যাচ্ছে না। এর পিছনে কিছু ‘স্বার্থপর মানুষের’ হাত রয়েছে বলে চিকিৎসকদের দাবি।
ডাক্তার অনির্বাণ বিশ্বাস বলেন, “আমরা নিজেদের সংগঠনে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।” পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগটি ঠিক নয়। ‘অভয়া ক্লিনিকের’ মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উপকারই হবে। পুলিশ গোটা বিষয়টি জানত না। আমি পরে জেনেছি। এর সঙ্গে পুলিশের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। তার পর থেকে আন্দোলনে নেমেছেন ওই হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের পাশে রয়েছেন রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার ও সিনিয়র ডাক্তারেরা। বিচারের দাবিতে তাঁরা একাধিক কর্মসূচির ঘোষণা করেন। এর পর জেলায় জেলায় ‘অভয়া ক্লিনিক’-এর আয়োজন করা হয়।