প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যের পুরসভাগুলিতে স্থায়ী ভাবে ‘সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’ পদে যে নিয়োগ হয়েছে, তাতে রাজ্যের ‘মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট’ (এমইডি)-এর কী ভূমিকা ছিল, তা জানতে চেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সিটির দুর্নীতি দমন শাখার ডিএসপি তথা এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক মলয় দাস ইমেল এবং স্পিড পোস্টের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নোটিস পাঠিয়েছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর।
ওই সূত্র জানাচ্ছে, ফৌজদারি কার্যবিধি বা সিআরপিসির ৯১ ধারায় (বর্তমানে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা) সিবিআইয়ের নোটিস পাওয়ার পর এমইডির সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (হেডকোয়ার্টার) রাজ্যের প্রায় সমস্ত পুরসভার এগ্জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে চিঠি দিয়ে ২৫ শে অক্টোবরের মধ্যে সিবিআই যা জানতে চেয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
সিবিআই প্রথমে জানতে চেয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ‘সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’-এর স্থায়ী পদে পুরসভাগুলিতে যে নিয়োগ হয়েছে, তা এমইডি কী পদ্ধতিতে এবং কী ভাবে করেছে। সেই সঙ্গে নোটিসে সিবিআই লিখেছে, কোন সময়ে এই ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ পদে নিয়োগ হয়েছে। তৃতীয় প্রশ্ন, পুরসভাগুলি থেকে এমইডি-কে কোনও ‘প্রোপোসড লেটার’ দেওয়া হয়েছিল কি না। যদি কোনও পুরসভা থেকে দেওয়া হয়ে থাকে বা এমইডি কোনও চিঠি পেয়ে থাকে, তা হলে মূল চিঠিগুলি দেখতে চেয়েছে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় সংস্থার চতুর্থ প্রশ্ন, এমইডি যে চিঠি বা ইমেল মারফত পুরসভাগুলিকে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েছিল, তার ‘অফিস কপি’ কোথায়। সেগুলিও দেখতে চেয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, জানতে চেয়েছে ‘মেজ়ারস এবিএস ইনফোজ়ন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা এমইডি-কে এই ‘সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’ পদে স্থায়ী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও আবেদন করেছে কি না। যদি করে থাকে, তার সমস্ত তথ্য চেয়েছে।
‘সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’ ছাড়া অন্য কোনও টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য এমইডি কোন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত কি না, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ‘তথ্য’ও তলব করেছে সিবিআই। প্রথমে এই তথ্যগুলি ২২ অক্টোবর বেলা ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে এমইডির কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের মাধ্যমে দেওয়ার কথা বলা হলেও পরে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পুরসভাগুলিকে ২৫ শে অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে এমইডি দফতরে তথ্যগুলি জমা দেওয়ার জন্য।