(বাঁ দিকে) জলে তলিয়ে যাচ্ছে গাড়ি। উদ্ধার চালকের দেহ (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।
আসানসোলে সেতু পেরোতে গিয়ে নদীগর্ভে তলিয়ে গেল চার চাকার গাড়ি। নদীর জলে স্রোত এতই বেশি ছিল যে, চালক গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগও পাননি তিনি। ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নদী থেকে তোলা হয়েছে গাড়িটিও। আসানসোল শহরে শুক্রবার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মোট তিন জনের।
আসানসোলের গাড়ুই নদীর উপরে কল্যাণপুর হাউজ়িং সেতুর উপর শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম চঞ্চল বিশ্বাস (৫৯)। তিনি আসানসোলের ধাদকার সুগম পার্কের বাসিন্দা। কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি। তাঁর স্ত্রী অনিতা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। শুক্রবার সন্ধ্যায় কল্যাণপুর হাউজ়িং সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন চঞ্চল। গাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। অত্যধিক বৃষ্টির কারণে গাড়ুই নদীতে জল বেড়ে গিয়েছিল। সেতুর উপর দিয়ে জল বইছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময়েই গাড়ি তলিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণপুর হাউজ়িং সেতু বেশ নিচু। নদী থেকে তার উচ্চতা খুব বেশি নয়। বৃষ্টি বেশি হলে ওই সেতু নদীর জলে ডুবে যায়। শুক্রবারও তা-ই হয়েছিল। সেতুর উপর দিয়ে প্রবল বেগে বইছিল নদীর স্রোত। চঞ্চল সেখান দিয়েই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নদীর স্রোতের সঙ্গে পেরে ওঠেননি।
এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা গিয়েছে, বৃষ্টির জল এবং নদীর জল মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। তার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন এক ব্যক্তি। সর্বশক্তি দিয়ে তিনি গাড়িটির স্টিয়ারিং ঘোরাচ্ছেন, কিন্তু লাভ হচ্ছে না। স্রোতে ভেসে যাচ্ছে তাঁর গাড়ি। একসময়ে গাড়িটি চালক-সহ ডুবে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল। শনিবার সকালে পুলিশ গাড়িটি জল থেকে তোলে। তার ভিতরেই পাওয়া যায় চালককেও। আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।