Wayanad Landslide

এখনও কি চাপা পড়ে আছে প্রাণের স্পন্দন? ওয়েনাড়ে জীবনের খোঁজে বিশেষ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ র‌্যাডার

ধসে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে শুরু হয়েছে পঞ্চম দিনের উদ্ধার কাজ। এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসাবে তিনশো জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ এখনও শতাধিক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ১০:১৫
Share:
More than 300 deaths reported in landslide hit Wayanad so far, Rescue operation continues for fifth day

ধসে বিধ্বস্ত কেরলের ওয়েনাড়। ছবি: রয়টার্স

মঙ্গলবার ধস নেমেছিল। আজ শনিবার। চার দিন পেরিয়ে গিয়েছে। ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে তিনশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-তে প্রকাশ, সরকারি হিসাবে ৩০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি, অন্তত ৩৪০। নিখোঁজ এখনও শতাধিক মানুষ। কাদা-মাটির স্তূপের মধ্যে এখনও কি চাপা পড়ে রয়েছে প্রাণের স্পন্দন? জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে নেমেছে সেনাবাহিনীও।

Advertisement

শুক্রবারও ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে চার জনকে। নিখোঁজ এখনও প্রচুর মানুষ। সময় যত এগোচ্ছে, জীবিত উদ্ধারের আশা তত ক্ষীণ হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর এক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, কাদা-মাটির স্তূপের নীচে এখনও কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, তা খুঁজে বার করতে বিশেষ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ র‌্যাডার ব্যবহার করা হবে।

শনিবার সকালে আকাশপথে ওয়েনাড়ের ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বায়ুসেনার কর্তারা। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল বিকাশ রানা জানিয়েছেন, আলাদা আলাদা উদ্ধারকারী দল গঠন করে একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, “শুক্রবারের মতো শনিবারও একই ভাবে উদ্ধারকাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলকে ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করা হয়েছে। পৃথক পৃথক উদ্ধারকারী দলকে ইতিমধ্যেই সেই জায়গাগুলিতে পাঠানো হয়েছে।” প্রতিটি উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে সেনার বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয়ও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

শনিবার সকাল থেকে ওয়েনাড়ের উদ্ধার অভিযানে সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। উদ্ধার অভিযানে পারদর্শী বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার কর্মীরাও ওয়েনাড়ের ধস-বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সেনাবাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং পুলিশের নেতৃত্বে এই উদ্ধারকাজে সব মিলিয়ে ১৩০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকারীকে মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা ওয়েনাড়ের পুঞ্চিরিমাত্তম এলাকায় একটি অস্থায়ী সাঁকো বানিয়েছেন গ্রামে উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement