Kirti Azad

ক্যানসার আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীকে শংসাপত্র দিতে নারাজ বিজেপি সাংসদ! পাশে দাঁড়ালেন কীর্তি

শেষ পর্যন্ত ক্যানসার আক্রান্ত নজরুলকে শংসাপত্র দিয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ। কীর্তির খোঁচা, কে ভোট দিয়েছেন, কে দেননি, তা দেখে শংসাপত্র দিচ্ছেন বিজেপির সৌমিত্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪৬
Share:

ক্যানসার আক্রান্ত (বাঁ দিকে) সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শংসাপত্র দিচ্ছেন সাংসদ কীর্তি আজাদ (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

অর্থাভাবে ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্য পাওয়ার আবেদন করতে চান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এই আবেদন করার জন্য প্রয়োজন শংসাপত্রের। অভিযোগ, নজরুল তৃণমূল কর্মী বলে তাঁকে শংসাপত্র দিতে অস্বীকার করেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে শংসাপত্র দিয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ। কীর্তির খোঁচা, কে ভোট দিয়েছেন, কে দেননি, তা দেখে শংসাপত্র দিচ্ছেন সৌমিত্র। এই নিয়ে সৌমিত্রের সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। তবে তিনি ফোন ধরেননি।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের মুইধারা গ্রামের বাসিন্দা নজরুল। এই গ্রাম বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। নজরুল দীর্ঘ দিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত। দু’বছর আগে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। একটি কিডনি বাদ যায়। তার পর থেকে তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যে তিনি জমি বিক্রি করে চিকিৎসার জন্য সাত লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। কেমোথেরাপির জন্য এখন প্রয়োজন এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু আর্থিক অনটনের জন্য তিনি সেই চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

নজরুল ঠিক করেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্য প্রার্থনা করে আবেদন করবেন। সেই টাকায় চিকিৎসা করাবেন। এই আবেদন করতে হলে সাংসদের দেওয়া একটি শংসাপত্রের প্রয়োজন। তিনি যে আর্থিক ভাবে অক্ষম, তার প্রমাণ দেবে ওই শংসাপত্র। গত সোমবার এই শংসাপত্রের জন্য বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্রের কাছে যান নজরুল। কিন্তু তখন সাংসদ দফতরে ছিলেন না। সাংসদের সচিবকে গোটা বিষয়টি জানান নজরুল। এই নিয়ে সৌমিত্রের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন তাঁর সচিব। তাঁকে গোটা বিষয়টি জানান। নজরুল বলেন, ‘‘সাংসদের সচিব আমাকে বলেন, আপনি সাহায্যের আবেদনের জন্য শংসাপত্র পাবেন না। কারণ সাংসদ আপনাকে শংসাপত্র দিতে বারণ করেছেন।’’

Advertisement

নজরুলের দাবি, এর পরই শনিবার তিনি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কীর্তির সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তৎক্ষণাৎ শংসাপত্রের ব্যবস্থা করে দেন। এই প্রসঙ্গে কীর্তি বলেন, ‘‘ভোট মিটে গিয়েছে। এখন সৌমিত্র খান সবার সাংসদ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে ভোট দিয়েছেন, কে তাকে ভোট দেননি, সেই হিসেব করে প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে আবেদনের জন্য শংসাপত্র দেবেন। এটা একেবারেই কাম্য নয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির জন্য কলকাতা যাচ্ছিলাম। রাস্তায় এই খবর পেয়ে বর্ধমানের পার্টি অফিসে যাই এবং ওই ব্যক্তিকে শংসাপত্র দিই।’’ এই বিষয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement