ফের কি আলুর দাম বৃদ্ধি পাবে? নিজস্ব চিত্র।
আলুর দাম কমানোর ব্যপারে লাগাতার সরকারি চাপের মুখে এ বার অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। শনিবার বাঁকুড়ার জয়পুরের একটি বেসরকারি হোটেলে বৈঠক শেষে এই কর্মবিরতির কথা ঘোষণা করে আলু ব্যবসায়ী সমিতি। আলু ব্যবসায়ী সমিতির এই কর্মবিরতির জেরে ফের বাজারে আলুর জোগানে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে ফের আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি খোলা বাজারে আলু, পেঁয়াজ-সহ সব্জির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। সেই নির্দেশের পরই বাজারে বাজারে ঘুরে সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে কৃষি বিপণন দফতর, টাস্ক ফোর্স ও এনফোর্সমেন্ট বিভাগ। আলুর দাম কমানোর জন্যও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। আর তাতেই বিপাকে পড়ে কর্মবিরতির ডাক দিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সব রকম ভাবে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করি। আমরা আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করি না। আলুর দাম নির্ভর করে চাহিদা এবং জোগানের উপর। বর্তমানে রাজ্যে জোগান বাড়িয়ে আলুর দাম কমানোর উদ্দেশ্যে কোনও রকম লিখিত নির্দেশিকা ছাড়াই আলুবোঝাই ট্রাকগুলি রাজ্যের সীমান্তে আটকে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদেই আন্দোলনে নামছি। আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেই আমরা রবিবার থেকে রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতি শুরু করছি।” প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা বিভাস দে আবার বলেছেন, “আলু সরবরাহের জন্য ভিন্রাজ্যের ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। সেই বকেয়া আদায়ের একমাত্র রাস্তা এ রাজ্য থেকে আলু সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা। কিন্তু সম্প্রতি কোনও রকম আগাম নির্দেশিকা ছাড়াই পড়শি রাজ্যগুলিতে আলু রফতানি আটকে দিচ্ছে পুলিশ। এই অবস্থায় আমাদের বকেয়া টাকা আদায় নিয়ে যেমন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তেমনই রাজ্যে মজুত আলু শেষ করা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। স্বাভাবিক ভাবে এই অবস্থায় আমরা বিপাকে পড়েছি। ফলে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেই আমরা আগামিকাল থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করছি।”