WB Panchayat Election 2023

ক্ষোভে সিপিএমের ‘সঙ্গী’ বিজেপি নেতা

দলের উপরমহল আঁতাত করে এ সব করেছে। যদিও বিজেপি বা তৃণমূল নেতারা অভিযোগ মানেননি। কেউ ‘ভোটের কৌশল’ কেউ প্রার্থীর ‘ব্যক্তি স্বাধীনতার’ কথা বলেছেন।

Advertisement

প্রদীপ মুখোপাধ্যায়

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩ ০৬:৪৩
Share:

সিপিএমের হয়ে দেওয়াল লিখছেন বিজেপির বুথ সভাপতি। আউশগ্রামে। ছবি: প্রদীপ মুখোপাধ্যায়

টিকিট পেয়ে গিয়েছেন দল বদলে আসা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। দীর্ঘ দিন বিজেপির পাশে থেকেও দল তাঁদের মর্যাদা দেয়নি। ক্ষোভে সিপিএমের হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন আউশগ্রামের অমরপুরের বিজেপির বুথ সভাপতি থেকে কর্মীদের একাংশ।

Advertisement

তাঁদের দাবি, দলের উপরমহল আঁতাত করে এ সব করেছে। যদিও বিজেপি বা তৃণমূল নেতারা অভিযোগ মানেননি। কেউ ‘ভোটের কৌশল’ কেউ প্রার্থীর ‘ব্যক্তি স্বাধীনতার’ কথা বলেছেন। আর সিপিএমের দাবি, বিরোধী ভোট কাটার জন্যই এ সব করেছে তৃণমূল।

অমরপুরের ১৭ নম্বর আসনে এ বার ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে। তৃণমূল ও সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন যথাক্রমে অমরপুরের বাসিন্দা রেখা বাগদি ও শিউলি বাগদি। আর বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন ওই পঞ্চায়েতের বিদায়ী তৃণমূল সদস্যা, বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা সোমা আঁকুড়ে। ইতিমধ্যে এলাকায় তৃণমূল ও সিপিএমের তরফে দেওয়াল লিখন, প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বিজেপির তরফে কোনও প্রচার চোখে পড়েনি বলে দাবি এলাকাবাসীর একাংশের। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বিজেপির ওই বুথের সভাপতি সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে লড়াই, আন্দোলন চালাচ্ছি। মারধর, ঘরছাড়া হওয়া, সব সহ্য করেছি। কিন্তু গ্রামের কাউকে প্রার্থী না করে বাইরে থেকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে এনে প্রার্থী করা হয়েছে। সেই কারণেই আমাদের সিপিএমের হাত ধরতে হয়েছে।’’ ওই বুথের প্রায় ২৫টি বিজেপি পরিবার দল ছেড়ে সিপিএমের হয়ে প্রচার করছে।নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে এটা করেছেন বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির ১ নম্বর মণ্ডল সভাপতি দেবব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘‘যেখানে আমাদের দলের কোনও প্রার্থী ছিল না, সেখানে অন্য কেউ দাঁড়াতে ইচ্ছুক হয়েছেন বলেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে তাঁকে টিকিট দিলে দল জয়ী হতে পারবে।’’ ওই বুথের সভাপতিকে দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

তৃণমূলের অমরপুর অঞ্চল সভাপতি গোলাম মোল্লা বলেন, ‘‘এটা ব্যক্তি স্বাধীনতার ব্যাপার। কেউ অন্য দলে দাঁড়াতেই পারেন। তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।” প্রার্থী সোমা অবশ্য এখনও বিজেপির হয়ে কোনও বৈঠক বা প্রচার করেননি। তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতি থেকে সরতে পারব না। তৃণমূল টিকিট না দেওয়ায় বিজেপি থেকে দাঁড়িয়েছি।’’স্থানীয় সিপিএম নেতা সুদীপ্ত দত্তের দাবি, ‘‘বিরোধী ভোট কাটার জন্য তৃণমূলই বিজেপিকে প্রার্থী দিয়েছে। যাঁরা প্রকৃত তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াতে চান, তাঁরা সিপিএমের পতাকারনীচে এসেছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement