সোমবার দিলীপ ঘোষের সভায় বেশ কয়েকজনের বিজেপিতে যোগদানের কর্মসূচি ছিল। সেই নিয়েই সভাস্থলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পুরনো বিজেপি কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
দুর্গাপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভার আগেই রণক্ষেত্র সভাস্থল। ঝামেলা গড়াল চেয়ার ছোড়াছুড়ি, মারামারি পর্যন্ত। সোমবার দিলীপ ঘোষের সভায় বেশ কয়েকজনের বিজেপিতে যোগদানের কর্মসূচি ছিল। সেই নিয়েই সভাস্থলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পুরনো বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি ছিল, কোনও মতেই অন্য দল থেকে আসা নেতাদের তাঁরা দলে যোগ দিতে দেবেন না। তাই নিয়ে গোলমাল শুরু হয়। দুর্গাপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা অমিত যাদব এই প্রতিবাদে সামিল হন। বেশ কিছু বিজেপি কর্মীকে নিয়ে তিনি দাবি করতে থাকেন, তৃণমূল থেকে আগতদের কোনও ভাবেই দল নেওয়া চলবে না।
উল্টো দিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, অনুষ্ঠানে যেমন যোগদানের কর্মসূচি ছিল, তেমনই থাকবে। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবেশ করছেন। সভামঞ্চে যাঁরা এই বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেন, তাঁদের কথা মানা হবে না। বিজেপির কেউ এই গোলমালের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলে তাঁদের উচিত শাস্তি দেওয়া হবে।
বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু অবশ্য এই নিয়ে জানান, ‘‘দল বাড়লে এই ধরনের সমস্যা হয়। দলে নিজেদের মধ্যে কথা বলে এই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হবে। যদি দলের কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে দল নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।’’
স্থানীয় তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘এ সব পুরনো বিজেপি আর নব্য বিজেপির অশান্তি। যাঁরা দল বদল করছেন, তাঁরা আদৌ তৃণমূলের সদস্য কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।’’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক উচ্চাশা থেকেই কি বিচ্ছেদ সুজাতা-সৌমিত্রের, জল্পনা জোরদার
আরও পড়ুন: ভুল করলে সুজাতা, আমি কি পাপী? স্ত্রী-র দলত্যাগে অশ্রুসজল সৌমিত্র