পরপর বিজেপি অফিসে ভাঙচুর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বারাবনিতে

বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ গৌরান্ডি হাটতলা লাগোয়া দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন তাঁদের কিছু কর্মী। হঠাৎ জনা পঞ্চাশ লোক এসে কার্যালয়ে ভাঙচুর শুরু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাবনি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৭
Share:

গৌরান্ডিতে বিজেপি অফিসের সামনে পড়ে রয়েছে ভাঙা চেয়ার। নিজস্ব চিত্র

একের পরে এক বিজেপির অফিসে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে এই ঘটনায় অশান্ত হয়ে ওঠে পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি। দলের বেশ কিছু কর্মীকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। গোলমালের পরে গোটা এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। পুলিশ জানায়, টহল দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Advertisement

বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ গৌরান্ডি হাটতলা লাগোয়া দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন তাঁদের কিছু কর্মী। হঠাৎ জনা পঞ্চাশ লোক এসে কার্যালয়ে ভাঙচুর শুরু করে। চেয়ার, টেবিল-সহ নানা আসবাব গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে তাঁদের মারধর করা হয়। দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাণ্ডব চলে বলে অভিযোগ। পুলিশ পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

তবে গোলমাল সেখানেই শেষ হয়নি। অভিযোগ, দুষ্কৃতী-দলটি সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কাঁটাপাহাড়ি ও জামগ্রামে গিয়ে পরপর দু’টি বিজেপি অফিসে ভাঙচুর চালায়। কাঁটাপাহাড়িতে দলের এক কর্মীর দোকানেও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতাদের। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ এমন গোলমালে আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা। রাজনৈতিক রেষারেষির জেরে সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে দাবি করে অবিলম্বে পুলিশের তরফে কড়া ব্যবস্থার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তীর দাবি, রবিবার বারাবনির বিস্তীর্ণ এলাকায় দলের তরফে মিছিল করা হয়। তাতে মানুষের যোগদান ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপির এই জনসমর্থন মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল। সেই আক্রোশেই দুষ্কৃতী পাঠিয়ে হামলা চালিয়েছে।’’ দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইও বলেন, ‘‘বারাবনিতে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধিতে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই পরপর কার্যালয়ে হামলা করেছে। মানুষই এর জবাব দেবেন।’’

তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য হামলার কথা অস্বীকার করেছেন। তবে দলের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টিকে ‘বিজেপির কোন্দল’ বলে মন্তব্য করলেও ব্লক নেতৃত্ব আবার এলাকার কিছু লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করেছেন বলে দাবি করেছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ‘‘গত কয়েক দিন ধরেই বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারাবনি-সহ নানা এলাকায় ওদের অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এ দিনের ঘটনা তারই জেরে ঘটেছে।’’ দলের ব্লক সভাপতি অসিত সিংহের আবার অভিযোগ, ‘‘এ দিন গৌরান্ডি হাটতলা এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালন করছিলেন আমাদের নেতা-কর্মীরা। বিজেপি অফিস থেকে কিছু বহিরাগত তাঁদের কটূক্তি করেন। প্রতিবাদ করলেও তা বন্ধ হয়নি। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার কিছু বাসিন্দা ভাঙচুর করেন।’’

পুলিশ জানায়, কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় টহল দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement