বর্ধমান স্টেশনের বাইরে সেই ব্যানার। — নিজস্ব চিত্র।
বাংলা থেকে ট্রেন যাচ্ছে অযোধ্যায়। যাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বর্ধমান স্টেশনের মূল প্রবেশপথে ব্যানার টাঙিয়েছে বিজেপি। সেখানে ছবি রয়েছে জেলা নেতৃত্বের। সেই ব্যানারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিরোধীরা বিষয়টির সমালোচনা করেছে। তাদের দাবি, বিজেপি রামমন্দির দর্শন নিয়ে রাজনীতি করছে।
বর্ধমান থেকে অযোধ্যা যাওয়ার জন্য বর্ধমান কাটরা-আস্থা স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে রেল। পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়ে বর্ধমান স্টেশনে মূল প্রবেশপথে টাঙানো হয়েছে ফ্লেক্স। একটিতে সাংসদের ছবির পাশাপাশি বিজেপি জেলা সভাপতি, যুব মোর্চার সভাপতি, যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের ছবি রয়েছে। নীচে লেখা রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি, বর্ধমান জেলা। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে। রামমন্দিরের দর্শনের নামে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও নিয়ম নীতি মানে না।’’
কংগ্রেস নেতা গৌরব সম্মাদার বলেন, ‘‘বিজেপি রামকে নিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন-বৈতরণী পার হতে চাইছে।’’ তাঁর খোঁচা, এমনিতে সারা বছর সাংসদ সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়লিয়াকে দেখা যায় না। কিন্তু এ সব কর্মসূচিতে সাংসদকে দেখতে পাওয়া যায়। সাংসদ বা প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে আপত্তি নেই। জেলা বিজেপির সভাপতিও কি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি? তিনি জানান, ক্ষমতায় রয়েছে বলে যা খুশি করছে বিজেপি। এসব নোংরা রাজনীতি।
যদিও বিজেপি এই অভিযোগ মানেনি। তাদের দাবি, সারা দেশের রামভক্তেরা রাম দর্শনে যাচ্ছেন। বর্ধমান থেকেও যাচ্ছেন। তার জন্যই শুভেচ্ছা জানিয়ে স্টেশনের বাইরে ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘‘বিরোধীরা যে কুৎসিত মন্তব্য করছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। মানুষের আবেগকে নিয়ে বিরোধীরা ছেলেখেলা করছে।’’