Bettting racket

আইপিএল নিয়ে ‘বেটিং’, মেমারিতে ধৃত ৩

তদন্তকারীরা জানান, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘ডাউনলোড’ করলেই ক্রিকেট জুয়ায় নাম লেখানো যায় না। সে জন্য ‘লগ-ইন আইডি’ এবং ‘পাসওয়ার্ড’ দরকার। বেটিং-চক্রের মাথারা সে সব সরবরাহ করে।

Advertisement

মেমারি

নিজস্ব সংবাদদাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২০ ০১:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

আইপিএল ক্রিকেট নিয়ে বেটিং চক্রের হদিস মিলল মেমারিতে। নাম জড়াল বর্ধমান শহরেরও। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ মেমারি শহরের ব্রাহ্মণপাড়ার একটি বাড়ি থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের কাছে ৬০ হাজার টাকা, কয়েকটি মোবাইল ও একটি নোটবুক মিলেছে বলে জানায় পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃত সুরঞ্জন বিশ্বাস, কালিচরণ শ ও পার্থসারথি বিশ্বাসের বাড়ি মেমারি শহরেই। পুলিশ সুপার (পূর্ব বর্ধমান) ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে নির্ভর করে বেটিং চালানো হত বলে জানা গিয়েছে। ওই তিন জন ছাড়া, আরও অনেকের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ধৃতদের জেরা করা হবে।’’ তদন্তকারীরা জানান, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘ডাউনলোড’ করলেই ক্রিকেট জুয়ায় নাম লেখানো যায় না। সে জন্য ‘লগ-ইন আইডি’ এবং ‘পাসওয়ার্ড’ দরকার। বেটিং-চক্রের মাথারা সে সব সরবরাহ করে। এই এলাকায় সেই ‘মাথা’ বর্ধমানের চন্দন শেখ ও রাজু সাউ, প্রাথমিক তদন্তে দাবি পুলিশের। তাদের কাছে মোটা টাকায় ‘আইডি’ ও ‘পাসওয়ার্ড’ কিনে মেমারিতে ধৃতেরা বেটিং-চক্র চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ করেছে। এফআইআরে মেমারি শহরের কয়েকজন ও বর্ধমানের ওই দু’জনের নাম রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

ওসি (‌মেমারি) সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় জানান, সুরঞ্জনের বাড়িতে ‘বেটিং চক্রে’ ১০-১২ জন যোগ দিয়েছিল। পুলিশ গেলে কয়েকজন পালালেও তিন জন ধরা পড়ে যায়। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জেরায় তাদের জানিয়েছে, অনলাইনে বেটিং হত। টাকা জিতলে ২৫% অনলাইনে সঙ্গে-সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হত। কার কাছে টাকা মিলবে, কারা টাকা পাবে— সব খাতায় লেখা থাকত। পর দিন বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাগাদা দেওয়া হত। চক্রে জড়িতেরা কমিশন পেত। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে এক দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement