বেশি বা কম বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়ে ভ্রূণ ঠিকমতো পুষ্ট হয় না। নানা জটিলতা দেখা দেয়। প্রতীকী ছবি।
এক দিকে, বেশি বয়সে মা হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আবার, নাবালিকাদের গর্ভবতী হয়ে পড়ার নানা ঘটনাও দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের দাবি, বেশি বা কম বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়ে ভ্রূণ ঠিকমতো পুষ্ট হয় না। নানা জটিলতা দেখা দেয়। তা কাটাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুরু হতে চলেছে ‘ফিটাল মেডিসিন’ সুবিধা। একই ছাতার তলায় ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ প্রসূতিদের চারটি পরীক্ষা করানোর সুযোগ মিলবে সেখানে। শনিবার এ বিষয়ে প্রসূতি-সহ দু’টি বিভাগকে প্রশিক্ষণ দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
এ দিন সকালে ওই বিভাগের উদ্বোধন করে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের উপরে নির্ভরতা কমাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বর্ধমানেও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। ভবিষ্যতে মেডিক্যাল কলেজে ‘ফিটাল মেডিসিন’ পড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।’’ জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা জানান, মেডিক্যাল কলেজের মতো কাটোয়া ও কালনা মহকুমাতেও এই বিভাগ খোলা হলে, প্রসূতিদের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যাবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর এখানে ২০ হাজারের বেশি প্রসব হয়। অন্তত ১৫% প্রসূতির বয়স বত্রিশের বেশি। আবার ৭-৮% প্রসূতির বয়স ২১ বছরের নীচে। হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষের দাবি, “দু’টিই ঝুঁকিপূর্ণ। ভ্রূণের স্বাস্থ্যের গঠন ঠিকমতো হয় না। আবার অনেক সময়ে জিনগত সমস্যাও দেখা যায়। ফলে, প্রসবের পরেও সমস্যা দেখা দেয়। ফিটাল মেডিসিন বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে ভ্রূণের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা যাবে। প্রয়োজন মতো চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।’’ ‘ফিটাল মেডিসিন’-এ চার রকম পরীক্ষা হবে এই হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, ভ্রূণের শারীরিক গঠন, জিনগত সমস্যা, ক্রোমোজ়োমের অস্বাভাবিকতা ও হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রসূতি বিভাগের প্রধান ঝন্টুকুমার সাহা বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ প্রসূতিদের চিহ্নিত করে এই বিভাগে পাঠানো হবে। সেখানে এখন বুধ ও শনিবার চিকিৎসা হবে।’’