—নিজস্ব চিত্র।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর নাকা চেকিংয়ের সময়ে কুলটিতে বিপুল অস্ত্র-সহ ধরা পড়েছিলেন আশ মহম্মদ নামে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে জেরা করে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কুলটির দিশেরগড়ে খোঁজ মিলল মাটির নীচে থাকা একটি বড় অস্ত্র-কুঠুরির। এই অস্ত্র কারবারের সঙ্গে জড়িত এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুলটি থানার বরাকর ফাঁড়ির পুলিশের তরফে জানানো হয়, যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে ছড়িয়ে রয়েছে এই অস্ত্র কারবারের জাল।
পুলিশ সূত্রে খবর, নাকা চেকিংয়ে ধৃত আশের থেকে প্রথমে উদ্ধার হয়েছিল মোট ২৬টি পিস্তল আর ৪৬টি ম্যাগাজিন। তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের দুই ব্যক্তির সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। আনওয়ার খান রশিদ ও আফতাব খান নামে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়। দুই ব্যক্তিকে জেরার পর কুলটির পুলিশ ঝাড়খণ্ডে একটি অভিযান চালায় স্থানীয় পুলিশের সাহায্য। সেখান থেকেও উদ্ধার হয় আরও অস্ত্র।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের কমিশনারেট (ডিসি ওয়েস্ট) অভিষেক মোদী জানান, এর পর তিন ধৃতকেই এক সঙ্গে বসিয়ে জেরা করে পুলিশ। সেই সময় আশ নিজেই স্বীকার করে, গত এক বছর ধরে দিশেরগড়ে নদীর পাড়ে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছে সে। তার পরই এসইপি কুলটির নেতৃত্বে বড় অভিযান চালায় কুলটি থানার পুলিশ। সেই অভিযানেই উদ্ধার হয়েছে সাতটি তৈরি ৭.৬২ পিস্তল, ২০টি অসম্পূর্ণ পিস্তল, ১৪টি তৈরি ম্যাগাজিন আর পাঁচটি অসম্পূর্ণ ম্যাগাজিন, ১৩ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য কিছু অস্ত্র।
পুলিশের তরফে জানানো হয়, তদন্ত চলছে। এই কারবারে আর কারা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।