তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি চঞ্চল বক্সী খুনে দলের কেউ জড়িত থাকলে শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাবে না। মন্তব্য করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সে কথাই রাখলেন তিনি। পূর্ব বর্ধমানের দেবশালার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সীর ছেলের খুনে জড়িত সন্দেহে দলেরই দাপুটে নেতা বলে পরিচিত সাত জনকে বহিষ্কার করলেন তিনি।
আসানুল মণ্ডল, কাদের মণ্ডল, হাসিবুল মোল্লা, বিশ্বরূপ মণ্ডল, হিমাংশু মণ্ডল, মনির হোসেন মোল্লা এবং আয়ুব খান— দেবশালা অঞ্চলে তৃণমূলের দাপুটে নেতা বলে পরিচিত এই সাত জন। তবে চঞ্চল-খুনে এঁদের মধ্যে কয়েক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের সন্দেহ ধৃতেরা খুনের ঘটনায় জড়িত। রবিবার তৃণমূল থেকে তাঁদের বহিষ্কার করলেন অনুব্রত।
প্রসঙ্গত, ওই খুনের পর চঞ্চলের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে দেবশালায় তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন অনুব্রত। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন,“এই কাজের সঙ্গে যুক্তদের শাস্তি হবে। তা সে যে দলই করুক।” রবিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে ওই সাত জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় দল। দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে আউশগ্রামে দেবশালায় নতুন অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণাও করেন অনুব্রত। সেখানে চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সীকে অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়। আউশগ্রামের এড়ুয়ার অঞ্চলে সহ-সভাপতি হিসেবে রঞ্জিৎ মণ্ডলের নাম ঘোষণা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে অনুব্রত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল-সহ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা।