ফাইল চিত্র।
‘ব্যাপক হবে’ পঞ্চায়েত ভোট। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি হওয়ার পরে এই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এ বার ভরা আদালতেই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দলীয় অনুগামীদের নির্দেশ দিতে দেখা গেল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে।
শনিবার অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর মক্কেলকে হয়রানি করার অভিযোগ তুলে জামিনের আবেদন করেন অনুব্রতের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত। অন্য দিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, তৃণমূল নেতা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর কিছু ক্ষণের বিরতি নেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। আদালত সূত্রে খবর, বিচারক নিজের ঘরে চলে গেলে কয়েক জন অনুগামী অনুব্রতের কাছে যান। তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথাও হয় তৃণমূল নেতার। এক অনুগামী আবার তারাপীঠে পুজোর ফুল ‘কেষ্টদা’র মাথায় ঠেকিয়ে দেন।
ওই সূত্রেরই দাবি, তাঁদের কাছ থেকে জেলায় দলের খবর জানতে চান অনুব্রত। বিজয়া সম্মিলনী ঠিকঠাক হয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও জিজ্ঞেস করেন তিনি। এর পরেই দলীয় কর্মীদের বেশ কিছু পরামর্শ দেন অনুব্রত। দলীয় সূত্রে খবর, আদালতে যাঁরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের মারফত কর্মীদের নিজের নিজের ব্লকে পড়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। পঞ্চায়েত ভোটে ঝাঁপাতে হবে সবাইকে।’’
অনুব্রত জেলে থাকায় বীরভূমের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত শাসক দল। তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই নেতানেত্রীদের ব্লকে ব্লকে গিয়ে প্রচার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশিই, জেলার দলের সাংগঠনিক শক্তিও যাতে অটুট রাখা যায়, সেই দিকটিও ভাবনাচিন্তা করছে শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলবন্দি অবস্থায় অনুব্রতও দাবি করেছেন, এ বার সুষ্ঠু ভাবে পঞ্চায়েত ভোট হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা চাই সুস্থ ভাবেই ভোট হোক। ভদ্র ভাবে, সুস্থ ভাবে ভোট হবে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কোনও গন্ডগোল হয়েছিল কি? সেই রকম ভোট হবে।’’