মলয় এবং অনুব্রত। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র আধিকারিকদের তল্লাশির সমালোচনা করলেন গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার মলয়ের আসানসোল এবং কলকাতার বাড়িতে যখন তল্লাশি চলছে, তখন অনুব্রতকে হাজির করানো হয়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। আদালত তাঁকে আবারও ১৪ দিনের জেলে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।
বুধবার মলয়ের আসানসোলের তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকেরা। সকাল ৮টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টে ২০ পর্যন্ত চলে সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান। আসানসোলের আপকার গার্ডেনে দু’টি বাড়ি রয়েছে মলয়ের। চেলিডাঙা এলাকায় তাঁর পৈতৃক বাড়ি। তিনটি জায়গাতেই চলে সিবিআইয়ের অভিযান। সিবিআইয়ের এই তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় অনুব্রতকে। তাঁকে তখন আসানসোল আদালত থেকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছিল আসানসোল সংশোধনাগারে। সেখানে ঢোকার মুখে সাংবাদিকরা কেষ্টকে প্রশ্ন করেন, মলয়ের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে। গরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া কেষ্ট একটি শব্দে তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘‘অন্যায়।’’ এর পর পুলিশকর্মীদের ঘেরাটোপে সংশোধনাগারে ঢুকে যান তিনি।
সিবিআই তল্লাশি নিয়ে মলয়ের ভাই অভিজিৎ ঘটক অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের সার্চ ওয়ারেন্ট দেখানো হয়নি। অভিযোগপত্রও দেখানো হয়নি। ওঁরা বললেন, ‘সিবিআই থেকে এসেছি, তল্লাশি করতে।’ আমাদের কোনও জিজ্ঞাসাবাদও করেননি। কোনও কাগজপত্রও নিয়ে যাননি ওঁরা।’’ সিবিআই তল্লাশি নিয়ে অভিজিতের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের বাড়িতে অনেকেই আইনজীবী। আমি ২৩ বছর ধরে আসানসোল এবং জেলায় ওকালতি করি। আমার স্ত্রী উকিল। আমার পরিবারের দাদু থেকে শুরু করে আমার বাবা স্বনামধন্য উকিল। আমরা সচ্ছল-মধ্যবিত্ত পরিবার। এমন একটা পরিবারে যা থাকার তাই আছে।’’
মলয়ের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আসানসোলের তৃণমূল কর্মীরা। দফায় দফায় তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। দুর্গাপুরে তৃণমূল কর্মীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। দুর্গাপুরের তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরাও যোগ দেন এই অবরোধে। এ ছাড়াও আসানসোলের আরও কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলকর্মীরা।