Bardhaman Incident

ডিজে বাজিয়ে, বাজি ফাটিয়ে শতায়ু বৃদ্ধার শশ্মান যাত্রা! নাতি-নাতনিদের কাণ্ডে হতবাক জামালপুর

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধর নাম সম্বরী মুর্মু। বাড়ি জামালপুরের হুকুমপুরে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১১৫ বছর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪ ২৩:১৪
Share:

ডিজে বাজিয়ে, বাজি ফাটিয়ে শতায়ু বৃদ্ধার শশ্মানযাত্রা! — নিজস্ব ছবি।

মরার খাটে শুয়ে আছেন এক শতায়ু বৃদ্ধা। সেই খাট সাজানো ফুলে। আর তার আগে আগে যাচ্ছে ট্রাক্টর। সেই ট্রাক্টরে রাখা ডিজে বক্স। সমান তালে বাজছে সেটি। ট্রাক্টরের সামনে ফাটছে দেদার বাজি। আর গানের তালে তালে নাচছেন শশ্মান যাত্রীরা! এই ‘শোভাযাত্রা’ দেখতে রাস্তার ধারে ভিড় উপচে পড়ে। অবাক স্থানীয়েরাও।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধর নাম সম্বরী মুর্মু। বাড়ি জামালপুরের হুকুমপুরে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১১৫ বছর। বার্ধক্য জনিত কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের বদলে যেন আনন্দের ছবিই দেখা গেল।

হুকুমপুরের বাড়ি থেকে শশ্মান প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার রাস্তা। গোটা রাস্তাটাই ট্রাক্টরে করে ডিজে বক্স বাজিয়ে, বাজি ফাটিয়ে গানের তালে নাচতে নাচতে ঠাকুমার মৃতদেহ শশ্মানে নিয়ে গেলেন নাতি-নাতনিরা। আর এই অভিনব ব্যাপার দেখার জন্য জামালপুরে রাস্তার দু’ধারে সাধারণ মানুষের ভিড় জমে যায়।

Advertisement

মৃতার নাতি রঘুনাথ মুর্মু ও বাপন মুর্মু বলেন, ‘‘ঠাকুমার বয়স ১০০ পেরিয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা সবাই ঠিক করলাম ডিজে বাজিয়ে পাড়ার ছেলেরা শশ্মানে যাব।’’ শশ্মানযাত্রীদের মধ্যে থাকা শ্রীকান্ত মান্না বলেন, ‘‘ডিজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজিও ফাটানো হল। বেশ আনন্দ হল শশ্মানে।’’

তবে গোটা বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দারা খুব একটা ভাল চোখে নেননি। জামালপুরের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক অশোক বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই ধরনের আচরণ মানা যায় না। অপসংস্কৃতি ছাড়া কী আর বলব।’’ একই কথা শোনা যায় স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম দত্তের গলাতেও। তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসনের উচিত এই ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement